মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিপত্তারিণী পুজো। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ হল মা বিপত্তারিণী (Bipodtarini Puja)।
সকল বিপদ থেকে রক্ষা পেতেই এই ব্রতপালন
বিপদ থেকে সন্তান ও পরিবারকে রক্ষা করতেই বিপত্তারিণী পুজো (Bipodtarini Puja) করে থাকেন মহিলারা। স্বামী, সন্তান এবং সমগ্র পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিবাহিত মহিলারা এই পুজো করে থাকেন। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত, সোজা রথ ও উল্টো রথের মাঝে শনি ও মঙ্গলবার বিপত্তারিণীর ব্রত রাখা হয়। অম্বুবাচী চলায় অনেক জায়গায় গত শনিবার হয়নি বিপত্তারিণী পুজো। তবে, এখন অম্বুবাচী কেটে গিয়েছে। আজ মহা সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বিপত্তারিণী পুজো।
আরও পড়ুন: কীর্তনের জনপ্রিয়তা ফেরাতে রিসার্চ অ্যাকাডেমি, তথ্যচিত্র তৈরির উদ্যোগ
গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো (Bipodtarini Puja) চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন। হিন্দুরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন।
এই পুজোয় তেরো-র তাৎপর্য
এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সবকিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে। ব্রতর আচার হিসেবে সব কিছু দিতে হয় তেরোটি করে। যেমন— তেরোটি নৈবেদ্য সাজাতে হয়। ব্রত পালনে লাগে তেরো রকম ফুল, তেরো রকম ফল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ। পুজো শেষের পর খাদ্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও ১৩টি খাবার খেতে হবে, যেমন - ১৩টা লুচি, ১৩ রকমের ফল, ইত্যাদি। চাল-চিঁড়ে-মুড়ি এসব খাওয়া যায় না৷
এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ হল তাগা বা ডুরি। ১৩টি লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট এবং ১৩টি দুর্বা ঘাস দিয়ে ডুরি (চলিত কথায় ডোর) তৈরি করতে হয়। এই ডুরি পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করতে হয়। বিশ্বাস, এই সুতো বেঁধে রাখলে স্বামী-সন্তানের উপর আসা সমস্ত বিপদ দূর হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours