Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

India: ভারতে ঘন ঘন ভূমিধসে জেরবার জনজীবন, কারণ কী?
Landslide
Landslide

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত। পাহাড়ে একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে। ধসের কবলে রাস্তার পাশাপাশি বাড়িও রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং নয়, কিছুদিন আগে কেরলের কেরলের ওয়েনাডে ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমি ধসের ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন দেশবাসী। এই বিপর্যয়ে ২০০ জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বার বার ধস কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ভূমি ধস প্রবণ এলাকা কোনগুলি? (Landslide)

আরএমএসআই (RMSI) নামে একটি প্রযুক্তিগত সংস্থা মূলত ভূমিধসের (Landslide) কারণ নিয়ে কাজ করে। তারা দেশের (India) অন্যান্য ভূমিধস-প্রবণ অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করে বিভিন্ন রাজ্যে ভূমিধসের ধরণগুলি বিশ্লেষণ করে। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আনুমানিক ৩০ শতাংশ জমি পাহাড়ি এলাকায়। ২২টি রাজ্য এবং পুদুচেরির কিছু অংশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, কেরল, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ।   

আরও পড়ুন: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

ভূমিধসের কী কী কারণ রয়েছে?

গবেষকদের মতে, দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনই ভূমিধসের অন্যতম কারণ। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আগামী দশকগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২০৮০ সালের মধ্যে অসমের গুয়াহাটিতে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় রাস্তা তৈরি ধসের (Landslide) অন্যতম কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৫০ সাল নাগাদ ভারতের রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩, ৯৯,৯৪২ বর্গ কিমি। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬২, ৯৫, ৭১৭ বর্গ কিমি হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় চার লক্ষ বর্গ কিমি থেকে বেড়ে প্রায় ৬৩ লক্ষ বর্গ কিমি হয়েছে। ফলে, প্রচুর পরিমাণ গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

ভূমিধসের তিন প্রধান কারণ

ভূমিধসের মূলে প্রধানত তিন কারণ। মূল কারণগুলি হল ভূতত্ত্ব, জমির গঠন ও মানুষের কার্যকলাপ। কোনও এলাকার ভূতত্ত্ব ও জমির গঠনের ওপর সেই এলাকা ভূমিধস প্রবণ হবে কিনা তা নির্ভর করলেও মানুষের যথেচ্ছ কার্যকলাপকে অস্বীকার করা যায় না। কেরলে সাম্প্রতিক বছরে ভূমিধসের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উঠে আসছে বেআইনি নির্মাণ কাজ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমিতে চাষাবাদ। এছাড়াও নিয়ম না মেনে সেচ, বনভূমি উজাড়, বেআইনি খনন কাজ, গাছ ধ্বংস ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেরলে অতিবৃষ্টি ভূমিধসের অন্যতম কারণ। কারণ অতিবৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মত, বিগত কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিত বাসস্থান নির্মাণ ঘন ঘন ভূমিধসের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া গত কয়েক বছরে ভৌগলিক পরিবর্তন ঘটায় এই সমস্যা আরও বেড়েছে।

সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা কী বললেন?

সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা পুষ্পেন্দ্র জোহারি বলেন, ‘‘যখন আমরা উন্নয়ন করার নামে প্রাকৃতিক পরিবেশকে নষ্ট করি। বিশেষ করে গাছপালা কেটে ফাঁকা করে, জল শোষণের ধরণগুলি পরিবর্তন করে বা নরম  জমিতে রাস্তা এবং বিল্ডিং তৈরি করে ভূমি ধসে (Landslide) প্রবণতা বাড়িয়ে দিই।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles