মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা ঝাড়গ্রাম জেলা। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কুড়মি (Kurmi) সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত সহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এবার জঙ্গলমহলে কুড়মি সমাজের সঙ্গে সংঘাত আরও চরমে উঠতে চলেছে রাজ্য সরকারের। কারণ, এবার মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং দুলাল মুর্মুর বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের প্রতিটি থানায় এফআইআর করতে চলেছে ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি।
কেন থানায় অভিযোগের সিদ্ধান্ত?
ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির মাঝেই অভিষেকের কনভয়ের হামলার সময় ভাঙচুর করা হয় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কনভয়। ঘটনার পর পরই কুড়মিদের আন্দোলন নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। কুড়মি (Kurmi) সমাজের নেতাদের হুমকি দিতে শোনা যায় শাসক দলের দাপুটে নেতা দুলাল মুর্মুকে। অন্যদিকে, কনভয়কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় একের পর এক কুড়মি নেতাকে। এই আবহেই বৈঠকে বসেন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কমিটির তরফে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি লড়াই লড়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্য নেওয়া হবে না। বরং জঙ্গলমহলের কুড়মি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে পাঠানো হবে কূপ। সেই কুপেই এক টাকা করে অর্থ সাহায্য নেওয়া হবে কুড়মি পরিবারের থেকে। ঘাঘর ঘেরা কমিটির অন্যতম সদস্য সুদীপ রায় মাহাত বলেন, কনভয়কাণ্ডে আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি প্রথম থেকে করে আসছি। এবার আমরা এই দাবির সমর্থনে আদালতের দ্বারস্থ হব। আর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, বিধায়ক দুলাল মুর্মু কুড়মিদের (Kurmi) নিয়ে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের সব থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। আর যে সব কুড়মি নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের হয়ে আইনি লড়াই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে করব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours