মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে রাজ্যের প্রাথমিক টেট দুর্নীতি (Primary TET scam) মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। সেই মোতাবেক, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Primary Education Board) কাছে ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ-নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। সেই মর্মে, এবার, প্রতিটি জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলির থেকে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে তথ্য চাইল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী বুধবারের মধ্যে এই নথি সংসদের দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন প্রাথমিক পর্ষদের সচিব আর সি বাগচি। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ৪২,৯৪৯ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। তাই জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সংসদকে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের একটি ই-মেল অ্যাড্রেস দেওয়া হয়েছে। বুধবারের মধ্যে সমস্ত তথ্য হাতে পাবার পর সেই তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ
তদন্তের স্বার্থে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৪২, ৯৪৯ শূন্য পদে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই তথ্য খতিয়ে দেখবে সিবিআই। টেটের রোল নম্বর, টেট পাশ সার্টিফিকেট সহ যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই সমস্ত শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবার সিবিআই আধিকারিকদের হেফাজতে আসতে চলেছে।
এরই মধ্যে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। কী কারণে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি? টাকা নিয়ে কিছু করা হয়েছে কিনা? এই বিষয়গুলো জানতে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের আরজি জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে 'সিট' গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। রাজ্যের যুক্তি ছিল, ২০১৪ সালে হয়েছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া, ইতিমধ্যেই ৮ বছর অতিক্রান্ত। এতদিন পর জনস্বার্থ মামলা করায়, সেই মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের দাবি খারিজ করে দিল আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours