মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে ভালো পাত্র আর ভালো কেশর খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ। বাজারে ভালো মানের কেশর (Kesar Price Hike) পেতে খসাতে হবে বাড়তি টাকা। কারণ কেশরের দাম বেড়েছে খুচরো ও পাইকারি উভয় বাজারে। বর্তমানে ১০ গ্রাম কেশরের দাম ৪ হাজার ৯৫০ টাকা। কেজি প্রতি ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রায় ৫ লক্ষ টাকা!
কেশরের মুল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা (Kesar Price Hike)
কেশরের এত দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ইরানের (Iran) উপর নিষেধাজ্ঞা। বিশ্ববাজারে একাই ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে ইরান। কিন্তু আধুনিক বিশ্বের বহু দেশ নিষেধাজ্ঞার জেরে ইরানের কেশর কিনতে পারছে না। হঠাৎ করে জেরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় কেশরের কদর এবং দাম (Kesar Price Hike) দুই বেড়েছে। জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ২৭ % দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ৩ থেকে ৩.৫ হাজার টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ভালো দরের কেশর। যার আগে দাম ছিল ২ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা প্রতিকেজি। বর্তমানে খুচরো বাজারে যে দামে কেজি প্রতি কেশর বিক্রি হচ্ছে তাতে ৭০ গ্রাম সোনা কেনা সম্ভব। ইরানে প্রতিবছর ৪৩০ টন কেশর উৎপাদন হয়। কাশ্মীরে (Kashmir) মাত্র ৩ টন প্রতিবছর কেশর উৎপাদন হয়। অথচ বাজারে চাহিদা রয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টন।
আরো পড়ুন: প্যালেস্তাইনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইজরায়েলের, শিশুসহ হত ২১
কাশ্মীরের কেশরের উৎকৃষ্ট মান
কাশ্মীরের কেশর ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বিন খালিক জানাচ্ছেন, “বিশ্ব বাজারে ইরানের অনুপস্থিতির জেরে কাশ্মীরি কেশরের (Kesar Price Hike) দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে। যদিও বিগত এক দশকে কাশ্মীরে কেশরের উৎপাদন ক্রমশ কমছে। ইরানি কেশর রং-এর জন্য বিখ্যাত হলেও কাশ্মীরি কেশরের সুগন্ধের ধারে কাছে কোন কেশর নেই। এখন পৃথিবীর বহু প্রান্তে কেশর উৎপাদন হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন ভারতের উৎপাদিত কেশর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, কানাডা ও আরব মুলুকে বিক্রি হয়। কেশরের এত দামের (Kesar Price Hike) কারণ হল মাত্র এক গ্রাম কেশর তৈরি করতে ১৬০ থেকে ১৮০ টি ফুলের প্রয়োজন হয় এবং কেশর উৎপাদন করতে প্রচুর শ্রম লাগে। কাশ্মীরের পামপোর, বডগাম, শ্রীনগর এবং কিস্তওয়ার জেলায় অক্টোবর মাস থেকে কেশর চাষ শুরু হয়। বিগত ১ দশকে কেশরের উৎপাদন কমে যাওয়ার পিছনে শ্রমিকদের অভাব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পামপোর জেলায় নতুন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বসানোক দায়ী করা হয়েছে। কারণ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে যে পরিমাণ বাতাসে ধোঁয়া ও ধুলো নির্গত হয় তাতে কেশরের চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে পামপোর জেলায় সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বসার পর থেকেই চাষিরা তাদের জমি নয় সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে দিয়ে দিয়েছে আর না হলে নিজেদের জমিতে চাষ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
কেশরের প্রজাতি
কাশ্মীরে কেশরের একাধিক প্রজাতির উৎপাদন হয় যার মধ্যে একটি হল মোংরা। এই কেশরের রং খুবই গাঢ় এবং এর ঘ্রাণ অন্য কেশরের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এছাড়াও কেশরের লাছা প্রজাতি যা লাল এবং হলুদ দুটো রঙ একসঙ্গে দিতে সক্ষম। এছাড়াও জর্দা বলে একটি প্রজাতি রয়েছে যা প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহার হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours