মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে সংস্কৃত ব্যাকরণের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মশাস্ত্র গীতাও পড়ানো হবে এবার কেরালার ত্রিশূর জেলার একটি ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (Kerala Madrasa)। ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে সিলেবাস। নতুন সিলেবাসের পঠন পাঠন শুরু হবে চলতি বছরের জুন মাস থেকে। নতুন অ্যাকাডেমিক বছর থেকেই এই ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের (Kerala Madrasa) ছাত্ররা পড়বে গীতা এবং সংস্কৃত।
প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কী বললেন
প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হলেন মালিক দিনার। মালিক দিনার কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে এসেছিলেন সংস্কৃত ভাষা শিক্ষক হিসেবে। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, প্রাচীন এই ভারতীয় ভাষা সম্পর্কে ছাত্রদের জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই ইসলামিক প্রতিষ্ঠান (Kerala Madrasa) ইতিমধ্যে ছাত্রদেরকে গীতার কিছু অংশ, উপনিষদ মহাভারত এবং রামায়ণের পড়িয়েছে গত সাত বছর ধরে। প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর হাফিজ আবু বকর বলেন যে সংস্কৃত ভাষা এর আগেও পড়ানো হয়েছে কিন্তু এবছর থেকে সেটি পরিকল্পনামাফিক পড়ানো হবে। জানা যাচ্ছে সংস্কৃত ভাষায় যে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে সেটি একটি ৮ বছরের কোর্স। যেটি উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত চলবে। তিনি আরও বলেন আমাদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা এবার নিজেদের পছন্দমতো সংস্কৃত ভাষায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স করতে পারবে। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে যে সিলেবাসটি তৈরি করা হয়েছে সি এম নীলকানন্দন নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের সহায়তায় যিনি সংস্কৃত ভাষারই অধ্যাপক ছিলেন শ্রী শংকরাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আবু বকর আরও বলেন যে এই ভাবনা শুধুমাত্র সংস্কৃত ভাষায় পাঠদানের জন্য নয়, এর সাহায্যে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা এবং ধর্ম সম্পর্কেও ছাত্ররা জানতে পারবে। তাদের ধারণা মজবুত হবে।
এই কোর্সে প্রাথমিক ব্যাকরণ, সংস্কৃত শব্দ সম্পর্কে ধারণা, লিঙ্গ পরিবর্তন, বাক্য গঠন ইত্যাদি শেখানো হবে। এরপর প্রথম দু বছরে স্নাতক স্তরে শেখানো হবে বিভিন্ন মহাকাব্য, প্রাথমিক ব্যাকরণ, সংস্কৃত নাটক, কম্পিউটার, সংস্কৃত স্তোত্র ইত্যাদি। স্নাতক স্তরে শেষ বছরে পড়ানো হবে গীতা, সংস্কৃত অনুবাদ ইত্যাদি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours