মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে আবার সামনে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি (campaign car) থেকে নামিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই মনমরা হয়ে কাঞ্চন বেরিয়ে গেলেন কল্যাণের প্রচার (election campaign) ছেড়ে। এই ঘটনার জেরে শুরুতেই তাল কাটে কল্যাণের প্রচারের।
ঠিক কী হয়েছিল? (Lok Sabha Election 2024)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) প্রচার ও জনসংযোগে বের হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan bandhopadhyay)। এই প্রচারে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক এবং অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক (kanchan mallick)। কিন্তু প্রচার শুরু হতেই ঘটে বিপত্তি। গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলা হয় বিধায়ককে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কাঞ্চনকে দেখলেই গ্রামের মহিলারা ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন। তাই তিনি কাঞ্চনকে তাঁর সঙ্গে গ্রামে প্রচারে যেতে মানা করেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, গ্রামে এসো না। আমি ব্যক্তি বিশেষের জন্য নই, আমি সমষ্টিগত মানুষের সুখের জন্য। একজনের সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না।"এরপর কাঞ্চন এক দলীয় কর্মীর বাইকের পিছনে বসে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। কাঞ্চনের অনুগামীদের সূত্রে খবর, ঘটনার পর তিনি কলকাতায় ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি
কাঞ্চনের বিয়ে নিয়েই শোরগোল টলিপাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়
প্রসঙ্গত, কাঞ্চন টলিউডের (tollywood actor) একজন জনপ্রিয় অভিনেত। কিন্তু, বর্তমানে ব্যক্তিগত কারণে শিরোনামে আছেন তিনি। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর খুব সম্প্রতি আবারো বিয়ে করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। আর কাঞ্চনের এই বিয়ে নিয়েই শোরগোল টলিপাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বত্র। আর এদিনের প্রচারে কাঞ্চনকে দেখে সেই নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে দাবি কল্যাণের। যদিও কল্যাণ স্পষ্ট করেননি, গ্রামের মহিলারা ঠিক কোনও কারণে কাঞ্চনকে নিয়ে আপত্তি করছেন। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় কাঞ্চন মল্লিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours