মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকহীন জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে। সন্দেশখালি, বনগাঁর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও কোর কমিটির কেউই এদিন তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ওপরেই এদিন জোর দিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।
প্রথম বৈঠকে গরহাজির জেলার একাধিক শীর্ষ নেতা (North 24 Parganas)
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) চাকলায় দলের কর্মীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক বৈঠকের পর মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে প্রথম কোর কমিটির বৈঠক হল সোমবার। আগের বৈঠকে সোমনাথ শ্যামের আসার পরেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের পর সংঘাত শুরু হয়েছিল সাংসদ ও বিধায়কের মধ্যে। দু'জনের এই দ্বন্দ্ব অনেকদূর গড়িয়েছিল। দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিকেও আসতে হয়েছিল নৈহাটিতে। সেই বৈঠকও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এদিনের বৈঠকে অবশ্য অর্জুন-সোমনাথ দু'জনেই সভা শেষ হওয়া পর্যন্ত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে সৌগত রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অর্জুন সিং, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিশ্বজিৎ দাস, সুজিত বসু, তাপস রায়ের মতো জেলার শীর্ষ নেতারা গরহাজির ছিলেন।
বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির নির্দেশ
দু'ঘণ্টার বৈঠকে কীভাবে এই জেলার কোর কমিটি আরও সফলভাবে কাজ করতে পারে, দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় ১৬ জন সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। এ-নিয়ে দু'টি প্রস্তাব উঠে এসেছে। একটা হল, চার সাংগঠনিক জেলার সকলকে নিয়ে কনফারেন্স করতে হবে। অন্যটি হল, লোকসভার আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি বেশি করে দলের কর্মীদের তুলে ধরতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বনগাঁর শংকর আঢ্য, সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের মতো জেলায় বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি করতে হবে বলেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক নিয়ে কী বললেন সাংসদ?
সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'গোটা ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যের দুর্নীতি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য কর্মীদের বলা হয়েছে।' তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকা থেকে বহু প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিজেপি প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করছে। এটা আমাদের কাছে চিন্তার। আমরা প্রশাসনকে বলেছি, পুরো বিচার না করে কোনও ভোটারের নাম তালিকা থেকে যেন বাদ না যায়।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours