মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিধসের কারণে বৃহস্পতিবার ফাটল দেখা গিয়েছিল জোশীমঠে (Joshimath)। এলাকার বেশ কিছু বাড়ির দেওয়ালেও ফাটল দেখা গিয়েছে। ঝুঁকি তৈরি হয়েছে শত শত বাড়ি মাটির তলায় চলে যাওয়ার। তার পরে এদিন রাতেই এলাকার বেশ কিছু পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে এ রকম প্রায় ৪৭টি পারিবারকে প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। ভূমিধসের জেরে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, প্রশাসনের তরফে তাঁদের ত্রাণও দেওয়া হচ্ছে।
জোশীমঠের পরিস্থিতি...
হিমালয়ের শহর জোশীমঠের বিস্তীর্ণ অংশে কেন ফাটল ধরল, তা জানতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, ভূমধসের কারণেই এলাকায় দেখা গিয়েছে বিরাট ফাটল। ফাটল ধরেছে এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে। ঘটনার জেরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (CM) পুষ্কর সিং ধামি জানান, জোশীমঠের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি জোশীমঠ পরিদর্শনে যাবেন। ধামি বলেন, জোশীমঠে ভূমিধস এবং তার জেরে বাড়িতে ফাটল সম্পর্কে আলোচনা করতে এদিন সন্ধ্যায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করব। আগামিকাল আমি জোশীমঠ পরিদর্শন করব। বিজেপির তরফেও একটি দলকে পাঠানো হবে জোশীমঠে।
উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলায় রয়েছে জোশীমঠ (Joshimath)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ছ হাজার ফিট। বদ্রীনাথ থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল ধরেছে। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার ৫৬১টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রবিগ্রামের ১৫৩টি, গান্ধীনগরের ১২৭টি, মনোহরবাগের ৭১টি, সিংধরের ৫২টি, পারসারির ৫০টি, আপার বাজারের ২৯টি, সুনীলের ২৭টি, মারওয়াড়ির ২৮টি এবং লোয়ার বাজারের ২১টি বাড়ি।
এদিকে, ভূমিধসের কারণে আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে চার ধাম যাত্রার রাস্তা চওড়া করার কাজ। হেলং থেকে মারওয়াড়ি পর্যন্ত ওই রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছিল। ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ওই রাস্তা চওড়া করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সেই কাজই আপাতত বন্ধ থাকছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
+ There are no comments
Add yours