মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা পুরসভা (Jhalda) মামলায় নয়া মোড়। শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং পূর্ণিমা কান্দুর নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের সময়সীমা বাড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন তাঁরা। আর সেদিনই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে দুই পক্ষকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।
ঝালদা পুরসভার (Jhalda) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অসাংবিধনিকভাবে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে সঙ্গ মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে। সেই বেঞ্চ যা রায় দিয়েছিল তার বিরোধিতায় আবার ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল। ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই।
আরও পড়ুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি
কী ঘটেছে?
ঝালদা পুরসভার (Jhalda) নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।
এরপর কাউন্সিলর পদ (Jhalda) থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এবার শীলার চেয়ারপার্সন পদের সময়সীমা বাড়ানো হল জুন অবধি।
আরও পড়ুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি
গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী।
+ There are no comments
Add yours