মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মী খুন হওয়ার জেরে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা তাণ্ডব চালাল গ্রামে। সিপিএমের ২০-২৫টি বাড়িতে আগুন লাগানোর পাশাপাশি বামেদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী খুনের ঘটনা জানাজানি হতেই শাসকদলের রোষানলে পড়ে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও পুলিশ ওই মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেনি। সোমবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (South 24 Parganas)।
উল্লেখ্য, এদিনই খুব ভোরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন এখানকার এক পঞ্চায়েত সদস্য। নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাঁকে দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন লস্কর নামে বছর চল্লিশের ওই তৃণমূল নেতা, যিনি একইসঙ্গে বামুনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য এবং অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ওই পঞ্চায়েতের প্রধান। এরপরই গ্রামের লোকজন তাড়া করে দু'জনকে ধরে ফেলে। এদের মধ্যেই একজনের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের আক্রোশ গিয়ে পড়ে সিপিএমের ওপর। নির্বিচারে চলে ভাঙচুর, মারধর এবং অগ্নি সংযোগ।
কীভাবে ঘটল ঘটনা? (South 24 Parganas)
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো সোমবার ভোরে ওই তৃণমূল নেতা নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন, ওই নেতা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
বগটুইয়ের ছায়া?
এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই বগটুইয়ের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। এখানেও বেছে বেছে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের (South 24 Parganas) ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে দীর্ঘক্ষণ দমকলের গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। বাড়ির পর বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বহু বাড়ি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours