মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, নদীর ধারে বাস, চিন্তা বারোমাস। ঠিক তেমনি তিস্তার পাড়ের টোটগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের এখন করুণ অবস্থা। সিকিম পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল উপচে ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে। তিস্তা নদীর জলে প্লাবিত জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারের টোটগাঁও গ্রাম। জলবন্দি এলাকার বহু পরিবার। আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা।
বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত (Jalpaiguri)
এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে, তিস্তার জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। আর সিকিম পাহাড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় কাল হল। তিস্তার জলস্তর একধাক্কায় বেড়ে যাওয়ায় নদীর ধারে জলপাইগুড়়ির (Jalpaiguri) টোটগাঁও বসতি এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ঘরের ভেতর বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত। কোথাও এক হাঁটু জল, কোথাও এক কোমর জল। বাড়ি ঘর ছেড়ে ভয়ে অন্যত্র নিরাপদ জায়গার খোঁজে পালিয়ে যেতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। বুধবার সকাল থেকেই তিস্তার (Teesta River) জলস্তর বাড়ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত যে সব জায়গায় চাষের জমি ছিল, এদিন সকালের মধ্যে সেখানে এক কোমর জল বইছে। জমির ওপর পড়ে গিয়েছে পলি। দিশাহারা এলাকার মানুষেরা। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন সকলে। আরও জল বাড়লে আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!
বানভাসি এলাকায় যাননি প্রশাসনিক কর্তা-তৃণমূল বিধায়ক!
এক কোমর জল ডেঙিয়ে মাথায় শেষ সম্বলটুকু তুলে নিরাপদ জায়গার রাখার চেষ্টা করছেন অনেকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সহায়সম্বল বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। তবে অভিযোগ, একবারের জন্য বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করতে যাননি প্রশাসনিক কর্তারা। এমনকী এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইকও একবার খোঁজ নেননি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, "আমরা এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থার জন্য তৈরি হয়নি। তিস্তার (Teesta River) জলে বাড়িঘর সব ভেসে গিয়েছে। কোথায় থাকব বুঝতে পারছি না। কেউ খোঁজ নেয়নি। আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours