মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) জাতীয় মুখপাত্রের (National Spoke Person) পদে ইস্তফা (Resign) দিলেন জয়বীর শেরগিল (Jaiveer Shergill)! বুধবার পদত্যাগের আগে গান্ধি পরিবারের বিরুদ্ধে চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। পদত্যাগের পর সাংবাদিক বৈঠকে জয়বীর জানান, তিন গান্ধিই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখেননি। তিনি বলেন, “দলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা কখনই বাস্তবায়িত হয় না। আমি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাহুল গান্ধি, সনিয়া গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধির কাছে সময় চাইছি, কিন্তু অফিসে আমাদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না।”
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?
তিনি আরও বলেন, “গত আট বছরে, আমি কংগ্রেসের কাছ থেকে কিছুই নিইনি, কেবল দিয়ে গিয়েছি। আজ আমাকে জনগণের সামনে মাথা নত করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, সেটা মেনে নিতে পারব না।" পদত্যাগপত্রে এই কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছেন 'তোষামদকারীদের' দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে নেতৃত্ব। চিঠিতে জয়বীর লেখেন, "এটা বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে যে, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর জনসাধারণের এবং দেশের স্বার্থের জন্য নয়, তোষামদকারীদের স্বার্থ দেখা হচ্ছে। বাস্তবতাকে উপেক্ষা করছে নেতৃত্ব। এসব আমি নৈতিকভাবে মেনে নিতে পারি না।"
In the past 8 yrs, I've not taken anything from Congress but only poured into the party. Today when I'm being pushed to bow down before people because they're close to the top leadership; this isn't acceptable to me: Jaiveer Shergill after resigning from all posts in Congress pic.twitter.com/ZCb0AoBHKi
— ANI (@ANI) August 24, 2022
৩৯ বছর বয়সী এই আইনজীবী কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ এবং সবচেয়ে বিশিষ্ট মুখপাত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। দুই প্রবীণ নেতা, গুলাম নবী আজাদ এবং আনন্দ শর্মা নিজ রাজ্যে তাঁদের দলীয় পদ ছেড়ে দেওয়ার পর এই মাসে এই নিয়ে কংগ্রেসে এটি তৃতীয় হাইপ্রোফাইল পদত্যাগ। '
জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে জয়বীরকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেওয়া হচ্ছিল না। জয়বীরের পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। সামনেই রয়েছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। এর আগে জয়বীরের পদত্যাগ কংগ্রেসের জন্যে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পদত্যাগের পর, ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেও কংগ্রেসের নাম সরিয়ে দিয়েছেন জয়বীর শেরগিল। গত কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল ওই নেতার। গত কয়েক মাসে তাঁকে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। বছর শেষেই হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে দলের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আনন্দ শর্মা। তিনি জানিয়েছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাঁকে যুক্ত করা হচ্ছে না। আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোস করবেন না বলেই পদ ছাড়ছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours