মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার একদিকে যখন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে মহিলারা উন্মাদনায় মেতে ওঠেন, ঠিক সেই সময় শহর জুড়ে বিভিন্ন বারোয়ারির ঘট বিসর্জন ঘিরেও উচ্ছ্বাস দেখা গেল শহরে। বিভিন্ন রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2024) কেন্দ্র করে এ যেন এক অন্য কৃষ্ণনগর!
ঘট বিসর্জনে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024)
পুজো এবং প্যান্ডেলের পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ বিসর্জন। বিসর্জন ঘিরে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের প্রতিটি জগদ্ধাত্রী মাতা (Jagadhatri Puja 2024) একদিন পূজিতা হন। সোমবার সকাল থেকেই একাধিক বারোয়ারি ঘট বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা নিয়ে রাজপথে রওনা দেয়। তবে অন্যান্য বারোয়ারি ঘট বিসর্জন করলেও কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি তা করে না। সেই কারণেই রাজবাড়িতে দেখা গেল রানিমার উপস্থিতিতে সিঁদুর খেলা। তা চলল দফায় দফায়। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়ে সকাল থেকে রাস্তার পাশে মানুষের উপস্থিতি। তাদের মধ্যে মূল আকর্ষণ চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমাকে ঘিরে। সকাল থেকে ঘট বিসর্জনের পর রাতে জগদ্ধাত্রী মাতাকে নিয়ে বের হয় তারা। মূলত সাং যাত্রার মাধ্যমে চলে রাতের শোভাযাত্রা। এখানে প্রতিমা কোনও গাড়িতে করে যায় না। মূলত মানুষের কাঁধে করে বিসর্জনের পথে রওনা দেয় কৃষ্ণনগরের প্রতিটি বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী মাতা। বিভিন্ন বারোয়ারি নিত্যনতুন আকর্ষণ তুলে ধরেছে। পুরুলিয়ার ছৌ নাচ থেকে শুরু করে বাংলার যে সমস্ত সংস্কৃতি এবং শিল্প রয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয় এই শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে।
কদমতলা ঘাটে নিরঞ্জন
কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বিভিন্ন রাজপথ অতিক্রান্ত করে কদমতলা ঘাটে বিসর্জন হয় জগদ্ধাত্রী মাতার। অন্যদিকে, এই শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024) ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে কারণে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours