মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গোঘাট। সম্পত্তির লোভে মা, বাবাহারা নাবালিকার পিঠে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকু-কাকিমার বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার কাকিমা। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বেশ কয়েক বছর আগে মা ও বাবাকে হারিয়েছে সে। তারপর থেকে কাকু ও কাকিমার কাছেই সে থাকত।
কাকু-কাকিমার বিরুদ্ধে আর কী অভিযোগ?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকু-কাকিমার কাছে থাকার কয়েক বছর পর থেকেই তার উপর লাগাতার অত্যাচার শুরু হয়। সময়ে তাকে খেতে দিত না বলে অভিযোগ। প্রায়শই মারধর ও শরীরে ছ্যাঁকা দিত বলে অভিযোগ। বুধবার তাঁদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সারাদিন কিছু খেতে দেয়নি। তার অপরাধ বুধবার ফ্রিজ থেকে একটি মিষ্টি বের করে খায় সে। সেই অপরাধেই খুন্তি আগুনে গরম করে ওই নাবালিকার পিঠে ছ্যাঁকা দেয় কাকিমা। পিঠের পিছনে দগদগে ঘা হয়ে যায়। যন্ত্রণায় সে ছটফট করতে থাকে। পরে, যাতে কেউ ঘটনা বুঝতে না পারে তার জন্য টাইট পোশাক পরিয়ে তাকে স্কুলে পাঠায় তারা। কিন্তু, স্কুলের দিদিমণিরা যন্ত্রণার কথা বুঝতে পেরে তার সমস্যার কথা জানতে চান। জামা খুলেই দেখেন, শরীরে খুন্তির ছ্যাঁকায় দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে। এরপরই ওই স্কুল ছাত্রী তার উপর হওয়া শারীরীক নির্যাতনের কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপরই উঠে আসে পুরো ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ জানানো হয়, বিডিও ও গোঘাট থানায়। গোটা ঘটনায় আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
কী বললেন জখম স্কুলছাত্রীর দাদু?
নাবালিকার মামা-দাদুর বক্তব্য, সম্পত্তির জন্যই ওরা এসব করছে। এর আগেও ওরা নির্যাতন করত বলে শুনেছিলাম। কিন্তু, সামান্য মিষ্টি খাওয়ার জন্য এভাবে খুন্তি পুড়িয়ে কাউকে ছ্যাঁকা দেওয়া যায় তা এখন দেখলাম। থানায় অভিযুক্ত কাকু-কাকিমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ইতিমধ্যেই দাদুর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে নাবালিকার কাকিমা সারদামণি চ্যাটার্জিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় কাকিমা গ্রেফতার হলেও অভিযুক্ত কাকু চিন্ময় চ্যাটার্জি পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours