মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার (Israel-Hezbollaah conflict) প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাকে খতম করেছে ইজরায়েল। লেবানানের (Lebanon) রাজধানী বেইরুটে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েল সেনা। হাসানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে ইজরায়েল সেনার পক্ষ থেকেই। পাল্টা ইরানের মদতপুষ্ট হিজবুল্লা এই মৃত্যু নিয়ে এখনও স্পষ্ট বক্তব্য জারি করেনি। পশ্চিম এশিয়ায় লাগাতর সংঘর্ষের কারণে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
কয়েক ঘণ্টার অপারেশনে খতম
গত কয়েক দিন ধরেই লেবানানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ক্রমাগত জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আক্রমণ (Israel-Hezbollaah conflict) চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল সেনা। শুক্রবার রাতে তাদের নিশানায় ছিল বেইরুট। দফায় দফায় বিমান এবং ক্ষেপনাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। বোমা বর্ষণের জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে লেবানান। ইজরায়েলের সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়, সৈয়দ হাসান নাসরাল্লার গোপন আস্তানাকে চিহ্নিত করা গয়েছিল। এরপর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপারেশনে তাঁকে খতম করা গিয়েছে।
Hassan Nasrallah will no longer be able to terrorize the world.
— Israel Defense Forces (@IDF) September 28, 2024
১৯৯২ সাল থেকে সক্রিয় নাসারাল্লা (Israel-Hezbollaah conflict)
বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় লেবানানে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি হামলায় হিজবুল্লার ড্রোন বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হুসেন শ্রাউর এবং অন্যতম কমান্ডার ইব্রাহিম মুহম্মদ কোয়াবিসিরও মৃত্যু হয়েছে। লেবাননের (Lebanon) স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, শুক্রবারে ইজরায়েল সেনার হামলায় ৬ জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হয়েছে ৷ হামলায় ছ'টি ভবন ধ্বংস হয়েছে ৷ ১৯৮০ সাল থেকে লেবানানের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই এই জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে ইসলামি ধর্মীয় নেতা এবং রাজনৈতিক নেতা হিসাবে সক্রিয় ছিলেন নাসারাল্লা।
আরও পড়ুনঃ ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের
তিনটি রকেট ছুড়ে হামলা করেছিল হিজবুল্লা
উল্লেখ্য গত বছর ৭ অক্টোবর আচমকা গাজা থেকে ইজরায়েলে (Israel-Hezbollaah conflict) হামলা চালানো হয়েছিল। ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবের দিনে একাধিক জায়গায় হামলার ফলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। একই সঙ্গে হামাস, হিজবুল্লার মতো জঙ্গিরা বহু অসহায় নিরপরাধ মানুষকে পণ বন্দি করে রেখেছিল। প্রচুর মানুষকে ঘুমন্ত অবস্থায় নির্বিচারে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। এরপর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে নেমে পড়ে ইজরায়েল। হিজবুল্লা সরাসরি যুদ্ধে না নামলেও হামাসকে সব রকম সহযোগিতা করেছিল। লেবানান থেকে ইজরায়েল ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে হামলা করলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করে ইজরায়েল। এরপর থেকে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours