Indus Water Treaty: সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির সংশোধন চাই, পাকিস্তানকে কড়া নোটিশ ভারতের

Notice to Pakistan: সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন, ইসলামাবাদকে জানিয়ে দিল নয়াদিল্লি...
indus
indus

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া নোটিশ পাঠালো নয়াদিল্লি। গত ৩০ অগাস্ট নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে কেন্দ্র। ৬৪ বছর আগের ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বর্তমানে পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে, বলে মনে করে নয়াদিল্লি।

চুক্তিতে পরিবর্তন অবধারিত

দীর্ঘ ৯ বছর আলাপ-আলোচনার পর ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তিতে (Indus Water Treaty) সই করে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। এর ফলে বেশ কয়েকটি আন্তঃসীমান্তস্থিত নদীর জল ব্যবহারে দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা এবং তথ্য বিনিময়ের একটি প্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই চুক্তিতে বেশকিছু পরিবর্তন অবধারিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে মোদি সরকার। নোটিশে জনসংখ্যার পরিবর্তন, পরিবেশগত সমস্যা সহ একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছে ভারত। তবে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে পাক সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। 

সমস্যা আসলে কী

৯ বছরের আলোচনার পরে ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) সই করে ভারত ও পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী— পূর্ববাহিনী নদীগুলো অর্থাৎ, শতদ্রু, বিপাশা এবং ইরাবতীর জল যত খুশি ব্যবহার করতে পারবে ভারত। উল্টো দিকে, পশ্চিমবাহিনী সিন্ধু, ঝিলম এবং চন্দ্রভাগা নদীর বেশিরভাগ জল ব্যবহারের অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। চুক্তি অনুযায়ী, পশ্চিমবাহিনী এই নদীগুলোতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধুর যতটা জল ব্যবহারের অধিকার রয়েছে ভারতের, তার ৯০ শতাংশের একটু বেশি এখন ব্যবহার করে ভারত।

জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে পাকিস্তান

সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ। তবে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভারত নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী জল ব্যবহার করলেও তা আটকাতে পারবে না পাকিস্তান। অথচ কিষেণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়া ইস্যুতে বারবার বাধা সৃষ্টি করছে পাকিস্তান। ভারতের দাবি, সেই কারণেই তারা যখন নিজেদের নির্ধারিত কোটার জল ব্যবহার করতে যায় বা বাঁধ বানাতে চায়, তখন পাকিস্তান নানা রকম আপত্তি তুলতে থাকে। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতেরও দ্বারস্থ হয় তারা। ভারতের অভিযোগ, এই একতরফা পদক্ষেপ আদতে সিন্ধু জলচুক্তির নবম ধারার লঙ্ঘন।

আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে প্রথম দফা নির্বাচন নির্বিঘ্নেই, ভোট পড়ল ৫৮ শতাংশ

বিরোধ নিষ্পত্তি জরুরি

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, কিষাণগঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের মধ্যেই এই নোটিশটি পাঠিয়েছে দিল্লি। সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) অধীনে বিবাদ নিষ্পত্তি জন্য ভারত সহযোগিতা করছে না বলে এর আগে একাধিকবার অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। যার ভিত্তিতে বিশ্বব্যাঙ্ক সম্ভাব্য বিকল্পের কথা বলে। দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদীর সিংহভাগ জল ব্যবহার করে পাকিস্তান। পাশাপাশি ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়েও ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। নয়াদিল্লি বরাবরই নিরপেক্ষ-বিশেষজ্ঞ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান নানা আছিলায় তা এড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে সিন্ধু জলচুক্তি সংশোধনের দাবিতে পাকিস্তানকে কড়া নোটিশ পাঠাল ভারত। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles