মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি-৪ (agni-4) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (ballistic missile) সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত (India)। ওড়িশার (odisha) এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ (apj abdul kalam island), পূর্ববর্তী হুইলার দ্বীপ (Wheeler Island) থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defence) তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রের নয়া প্রযুক্তি যাচাই করা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অগ্নি-৪ ব্যালিস্টিক মিসাইল চার হাজার দূরের যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে। মন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফল পরীক্ষা দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করে তুলবে। এদিনের পরীক্ষায় অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের যাবতীয় অপারেশনাল প্যারামিটার তথা প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতাকে সফলভাবে যাচাই করেছে।
গত বছর অগ্নি-প্রাইম (Agni Prime) মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত। সেই পরীক্ষাও হয়েছিল ওড়িশা উপকূলে। সেটিও ছিল পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। পাল্লা ছিল এক থেকে দু'হাজার কিলোমিটার। অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৪ হাজার কিলোমিটার। স্বাভাবিকভাবেই অগ্নি-৪ এর আওতায় চলে এল ভারতের অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশ।
আরও পড়ুন : ১৮ বছর পর বারাণসী বিস্ফোরণকাণ্ডে ফাঁসির সাজা ওয়ালিউল্লাহ খানকে
কিছুদিন আগেই অত্যাধুনিক ব্রহ্মস (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল ভারতীয় নৌসেনা ও বায়ুসেনা। দুটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করা হয় আন্দামান ও নিকোবর সংলগ্ন এলাকায়। উৎক্ষেপণ শেষে নৌসেনা জানিয়েছিল, যুদ্ধজাহাজ 'আইএনএস দিল্লি' (INS Delhi) থেকে একটি ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া হয়। উৎক্ষেপণের পর এক বিবৃতিতে নৌসেনা জানিয়েছিল, ঘণ্টা প্রতি তিন হাজার কিলোমিটার বেগে নির্ধারিত লক্ষ্য একটি বাতিল জাহাজে আছড়ে পড়ে মিসাইলটি। অত্যাধুনিক এই সমরাস্ত্রের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, জাহাজটিতে বিরাট গর্ত তৈরি হয়। প্রচণ্ড গতির জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সহজে ঘায়েল করতে পারে না এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলি।
আরও পড়ুন : প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান!
অগ্নি-৪ এর সফল উৎক্ষেপণের ফলে ভারত আরও বেশি শক্তিশালী হল। এদিকে, এর আগেই অবশ্য প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াতে চলেছে ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রেই এ খবর মিলেছে। দেউলিয়া হওয়ার পথে যে দেশ, সে দেশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ায় কোন যুক্তিতে, উঠছে সেই প্রশ্নও।
+ There are no comments
Add yours