Pakistan: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

পেশোয়ারে খুন একের পর এক শিখ, গত ৩ মাসে ৪ বার হামলার শিকার পাকিস্তানে বসবাসকারী শিখরা...
india_pakistan
india_pakistan

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংখ্যালঘু শিখ (Sikh Minority) সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পাকিস্তানে (Pakistan)। গত তিন মাসে এ নিয়ে চারবার হামলা হল সে দেশে বসবাসকারী শিখদের ওপর। ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের এক পদস্থ কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ জানাল নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে পাক দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছে ‘ইউনাইটেড শিখস’ নামে শিখদের একটি সংগঠন।

শিখদের ওপর হামলা

পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। কখনও ব্যক্তিগত রোষের জেরে, কখনওবা জোর করে সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অছিলায়, কখনও আবার ধর্মীয় কারণে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছেই। গত কয়েকদিনে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে আক্রান্ত হয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি। এঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসক। তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার হিংসার বলি হন মনমোহন সিংহ নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী।

পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি

পুলিশ সূত্রে খবর, পেশোয়ারের রশিদগঢ়হী বাজারের কাছেই একটি দোকান চালাতেন মনমোহন। শনিবার দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় বাইকে চড়ে মনমোহনের (Pakistan) পিছু নেয় দুই দুষ্কৃতী। কিছুটা দূরে গিয়ে মনমোহনের পথ আগলায় তারা। তার পরেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিখ সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তির।  

শুক্রবার রাতেও স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা হয়। তাঁকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে তাঁর পায়ে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সবকটি ঘটনাই ঘটে পেশোয়ার শহরে। আফগান সীমান্তবর্তী পেশোয়ারে হাজার পনের শিখের বাস। সেখানেই ঘটে চলেছে একের পর এক হামলার ঘটনা।

আরও পড়ুুন: ঝাড়গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় থানার ওসির, ভাইরাল ভিডিও

পাঁচ বছর আগে এই পেশোয়ারেই (Pakistan) গুলি করে খুন করা হয় শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতা চরণজিৎ সিংহকে। তিন বছর আগে ফের গুলি করে খুন করা হয় সংবাদ মাধ্যমের সঞ্চালক বিন্দর সিংহকে। এই পেশোয়ারেই ২০১৬ সালে খুন হয়েছিলেন সুরেন সিংহ। তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা তথা জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। শনিবারের ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট নামে একটি সংগঠন। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 
 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles