মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে রাঁচীতে জীবনের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন ধ্রুব জুরেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে দু’টি ইনিংসেই তাঁর লড়াই নজর কেড়ে নিয়েছে। সেই ধ্রুব জুরেল ম্যাচের পরেই একটি বার্তা পোস্ট করেছেন রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড়ের উদ্দেশে। তাঁর উপরে আস্থা রাখার জন্য অধিনায়ক এবং কোচকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের এই তরুণ ক্রিকেটার।
ধ্রুবের জেদ
উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহর থেকে উঠে এসেছেন জুরেল। বাবা নেম চাঁদ ছিলেন ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সেনা। ছোটবেলার জেদই তাঁকে ক্রিকেটে নিয়ে এসেছে। ছোটবেলায় বাবা-মা চাইতেন না ধ্রুব ক্রিকেটে আসুক। তাঁরা চাইতেন সেনা অফিসার করতে। কিন্তু নিজের জেদেই ক্রিকেটে আসেন জুরেল। রাঁচি টেস্টেই প্রথম হাফসেঞ্চুরি করে বাবাকে সাফল্য উৎসর্গ করেছিলেন। বাবাকে স্যালুট জানিয়ে তাঁকে সম্মানও জানান জুরেল।
Thank you Rohit bhaiya, Rahul sir for believing in this boy 🙏🇮🇳❤️ pic.twitter.com/pBlojvB10p
— Dhruv Jurel (@dhruvjurel21) February 26, 2024
কী বললেন জুরেল
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে জুরেল বলেন, “আমি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি। প্রথম ইনিংসে আমাদের রান দরকার ছিল। আমি জানতাম, যতটা বেশি রান করতে পারব, তত ভাল। কারণ, চতুর্থ ইনিংসে আমাদেরই ব্যাট করতে হত। সেই কাজটাই করার চেষ্টা করেছি।” ৯০ রানের পথে নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন জুরেল। সেই কারণে শুধু নিজেকে নয়, বাকিদেরও সমান কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। জুরেল বলেন, “শেষ দিকে কয়েকটা জুটি হয়েছিল। তাই ওদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। আমি শুধু বল দেখে সেই অনুযায়ী খেলছিলাম। খুব বেশি কিছু ভাবার চেষ্টা করিনি।”
জুরেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোহিত
‘‘ধ্রুব জুরেল ওর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলছে। দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ও। ইনিংস চলাকালীন ও নিজের ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। উইকেটের চারপাশে শট খেলেছে ও। প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের ইনিংস খেলেছিল। এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমন গিলের সঙ্গে দারুণ ধৈর্য ধরে ব্যাট করে ও। চাপটা ভালোই সামলেছে।’’
No words just pure emotions 🥹
— BCCI (@BCCI) February 26, 2024
A series win to remember 🔝#TeamIndia | #INDvENG | @IDFCFIRSTBank pic.twitter.com/AtyB7tJq4c
তরুণদের পারফরম্যান্স নিয়ে রোহিত বাড়তি উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, ‘‘তরুণ খেলোয়াড়রা জাতীয় দল পর্যন্ত পৌঁছতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এবং সেই পারফরম্যান্স দিয়ে এখানে আসাটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ওদের থেকে যে সাড়াটা আমি পেয়েছি, তা উৎসাহজনক। আমার আর রাহুল (দ্রাবিড়) ভাইয়ের কাজ হল, ওদের খেলার জন্য আদর্শ পরিবেশ দেওয়া। যে পরিবেশে ওরা নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে পারবে। ওরা প্রত্যেকেই খুব ভালো। কী করতে চায়, সেটা ওদের কাছে পরিষ্কার। ওরা তৈরি হয়ে নেমেছে। প্রত্যেকের সামনেই উজ্জ্বল কেরিয়ার রয়েছে। তবে তার জন্য পরিশ্রম করে যেতে হবে। তবে এখন যে ভারতে এত ভালো ভালো ক্রিকেটার উঠে আসছে, তাতে আমি খুব খুশি।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours