মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা (Wheat export ban) জারির পর এবার চিনি রফতানিতে রাশ টানার পরিকল্পনা করল কেন্দ্র। বিগত ছয় বছরে এই প্রথমবার চলতি মরশুমে চিনি রফতানির (Sugar Exports) সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, চলতি মরশুমে এক কোটি টন চিনি রফতানি করা যাবে। দেশে চিনি মিলের মালিকরা বিপুল পরিমাণ চিনি বিদেশে রফতানি করে বলেই দেশীয় বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, বলে মনে করে সরকার। তাই দেশে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মতো, ১ জুন থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিদেশে চিনি রফতানির আগে কেন্দ্রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে রফতানিকারকদের।
আরও পড়ুন: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র
সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মতে, এমনিতে অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনি রফতানির মরশুম চলে। ২০১৬ সালে চিনি রফতানিতে রাশ টানা হয়েছিল। চিনির উপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক চাপিয়েছিল কেন্দ্র। ব্রাজিলের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদক দেশ হল ভারত। সেই পরিস্থিতিতে ভারত রফতানিতে রাশ টানলে বিশ্ব বাজারে চড়চড়িয়ে বাড়বে চিনির দাম। ভারত থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চিনি আমদানি করে। ভারতে চিনির রফতানিতে রাশ টানার সঙ্গে সঙ্গেই লন্ডনে সাদা চিনির দাম এক শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি শুল্কমুক্ত করল কেন্দ্র
সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিক বলেছেন, ‘ভারতে রেকর্ড চিনি উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু প্রচুর পরিমাণ রফতানিও হচ্ছে। তার ফলে আগামিদিনে দাম বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত শরৎকালে চিনির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ ২০২০-২১ মরশুমে সাত মিলিয়ন টন চিনি রফতানি করেছিল ভারত। তবে তা লক্ষ্যমাত্রার (ছয় মিলিয়ন টন) থেকে বেশি ছিল। সার্বিকভাবে ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় রফতানি ছ'গুণ হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে রফতানি শুল্ক বসানোর পাশাপাশি রফতানির সীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। ভারতে যা চিনি উৎপাদিত হয়, তার বেশিরভাগটাই মিষ্টির দোকান বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। মাত্র দু'শতাংশ গৃহস্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
+ There are no comments
Add yours