মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত এবং চিনের মধ্যে যা ঘটছে তা দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে ব্যাহত করছে। এই সমস্যার সমাধানে দুই দেশের সরকারকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে, বলে দাবি করলেন অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ তাপির গাও।
চিনের ক্ষতি বেশি
সোমবার এক ভিডিওবার্তায় অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ তাপির বলেন,"আমি ৯ ই ডিসেম্বরের ঘটনা শুনে খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। এর তীব্র নিন্দা জানাই। যদি পিএলএ ভবিষ্যতেও এমন কাজ করে, তাহলে ভারত-চিন সম্পর্ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই ধরনের সীমান্ত সম্পর্কিত ঘটনা দুই দেশের জন্যই খারাপ। ভারত ও চিন সরকারের উচিত সম্পর্ক আরও ভালো করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ করা।" ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় ও চিনা সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সেনাই আহত হন। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর পূর্ব লাদাখে দুই পক্ষের মধ্যে ৩০ মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত স্থবিরতা চলছে। গত শুক্রবার এলএসি বরাবর ইয়াংটসের কাছে ফের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার
বিজেপি সাংসদ তাপিরের দাবি, এই ঘটনায় ভারতীয় জওয়ানের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক চিনা সৈন্য আহত হয়েছে। প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে এসেছিল চিন। কিন্তু তাতেও সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওই সংঘাতে যতজন ভারতীয় জওয়ান আহত হয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি চিনা আহত হয়েছে। চিনা সেনা ভাবতেই পারেনি যে ভারত এরকমভাবে প্রস্তুত থাকবে। এর পরেই দ্বিপাক্ষিক ঊর্ধ্বতন সেনা স্তরের আলোচনায় বসে দুই দেশ। উভয়েই মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র বিষয়ে ঐকমত্য হয়। ইতিমধ্যে তা কার্যকরও হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান সংঘর্ষের সময়ও ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হয়েছিল। আমেরিকা-সহ বিভিন্ন পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট চিনা সেনার নিহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। যদিও তা প্রকাশ্যে শিকার করেনি বেজিং।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours