মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল গভীর রাত্রে বেলেগাছি এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে হামলা করে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে। ইতিমধ্যে গুরুতর জখম এক তৃণমূল কর্মী। আহত ব্যক্তির নাম শহিদুল মোল্লা। এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয় এবং সেই সঙ্গে গুলিও চালানোর চেষ্টা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে বারুইপুর (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল।
আহত তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য (South 24 Parganas)
এলাকায় (South 24 Parganas) গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলির আঘাতে আহত তৃণমূল কর্মী শহিদুল মোল্লা বলেন, “এক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু আমাকে টার্গেট করে গুলি করতে আসলে আমি হাত দিয়ে ধরে ফেলি। তাতে আমিও আহত হই। ওরা সকলে যুব তৃণমূলের কর্মী। রেজাউল এবং কুতুব মিস্ত্রি মূলত আক্রমণ করে। আমিও নিজে তৃণমূল করি।” আবার আক্রান্তের দাদা আরও বলেন, “এলাকায় আমার ভাই প্রধানের সঙ্গে ওঠাবসা করেন। মূলত মাদার এবং যুব তৃণমূলের মধ্যে একটি রাস্তা নিয়ে বিবাদ। আগেও আমাদের বাড়িতে আক্রমণ করেছিল বন্দুক নিয়ে। আজ কুতুব মিস্ত্রি যুব তৃণমূলের সভাপতি এলাকার তাঁর নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। গুলি চালিয়েছিল কিন্তু লাগেনি শরীরে। তবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে ঘাড়ে এবং কোমড়ে। আমরা বন্দুকটি উদ্ধার করতে পেরেছি। পুলিশের কাছে জমাও দিয়েছি। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।”
যুব বনাম মাদার সংঘর্ষ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা করিমুল্লা মোল্লা ও মাদার তৃণমূল কংগ্রেস সাইফুদ্দিন মোল্লার মধ্যে বিবাদ। সেই জেরে ব্যাপক হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত তৃণমূল কর্মীরা মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। পুলিশ এখন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। অপরে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours