মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিলাররা ফড়েদের কাছেই রেশনের (Ration Scam) সামগ্রী বিক্রি করে। উপভোক্তাদের এই অভিযোগে তোলপাড় পূর্ব বর্ধমানের মেমারি। রেশন-দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অপর দিকে রেশনের চাল, আটা, গম বিক্রি করে কালো টাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পাহাড় নির্মাণ করেছেন তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান। এখন জেলায় জেলায় রেশন দুর্নীতি মামলায় চলছে ধরপাকড় এবং তল্লাশি। রেশনের সামগ্রী ফড়েদের কাছে বিক্রি করেই করা হত রেশন-দুর্নীতি।
কীভবে চলত বিক্রি (Ration Scam)?
সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন (Ration Scam) ডিলাররা উপভোক্তাদের অনলাইনের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী না দিয়ে দিতেন টোকেন। এরপর উপভোক্তাদের প্রাপ্য সামগ্রী এক দল অসাধু ব্যবসায়ী বা ফড়েদের কাছে বিক্রি চলতো। এই বিষয়ে মেমারির বেনাপুর গ্রামের মানুষের অভিযোগ, এমন ভাবেই এই এলাকার ডিলার, রেশনের সামগ্রী বিক্রি করে দুর্নীতি করতেন। আর গতকাল মঙ্গলবার এই অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে পুলিশ।
রেশন ডিলারের বক্তব্য
স্থানীয় ডিলার রাজীব রায় বলেন, “ওই টোকেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারেন। রেশন সামগ্রীর হিসাবেও গোলমাল হচ্ছে, খাদ্য দফতরকে জানাবো।” পরে অবশ্য রেশন দোকানের কর্মী বিপ্লব পাল বলেন, “টোকেন দেখেই আমরা রেশন সামগ্রী দিতাম। তবে কাকে কীভাবে টোকেন দেওয়া হয়েছে, তা আমি বলতে পারবো না।”
পূর্ব বর্ধমানের জেলা খাদ্য নিয়ামক মিঠুন দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে তদন্তকারী অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি রসুলপুরের রেশন (Ration Scam) ডিলারকে সোমবার সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য
পশ্চিমবঙ্গ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক পরেশচন্দ্র হাজরা বলেন, “রেশন বণ্টনে (Ration Scam) টোকন দেওয়ার বিশেষ কোনও নিয়ম নেই। ইংরেজি বুঝতে না পারলে গ্রাহকের অনলাইন বিলের পিছনে প্রাপ্য সামগ্রী লিখে রাখতে হবে। এই বিষয়ে খাদ্য দফতর ব্যবস্থা যদি না নেয়, তাহলে ডিলার অ্যাসোসিয়েশন কোনও ব্যবস্থা নেবে না। ”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours