মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবানগোলায় (Murshidabad) জোর করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দিয়ে দিলেন মা-বাবা। আর তারপর মাসখানেক যেতে না যেতেই মেয়ের পড়া বন্ধ করতে চাপ তৈরি করা হল। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
অভিযোগ কী (Murshidabad)?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প কতটা কাজে লাগছে গ্রামগঞ্জে, তারই প্রতিচ্ছবি ভগবানগোলায় (Murshidabad)। ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রী বিয়ের পরেও পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার মা বই পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে ওই নাবালিকা ছাত্রী। প্রতিবাদ করতে গেলে নাবালিকাকে মারধর করা হয়। পড়াশোনা নয়, সংসার করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। প্রত্যেক দিন নানা অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে নাবালিকা ছাত্রীকে। এমন অভিযোগে সরব নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
কন্যাশ্রীর বাস্তব চিত্র
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে যেমন কন্যাশ্রী প্রকল্পের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন, ঠিক তেমনি আবার এই রাজ্যের মেয়েরা পড়াশুনা করতে না পারার বাস্তব চিত্রের সাক্ষ্য বহন করছে। এ যেন একই বঙ্গে দুই রকম চিত্র। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলায় ঘটল উল্টো ঘটনা! নাবালিকা মেয়ের দাবি, তার মা-বাবা বারবার নানা ধরনের কথা বলেন এবং তাকে কার্যত অন্ধকারে রেখে জোর করে এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিয়ে দেওয়ার পরেও নাবালিকা শ্বশুরবাড়ি যেতে চায়নি। বাপের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতে চাইছিল সে। এমনকি মেয়ের বাবা-মা জোর করে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সব বইপত্র পুড়িয়ে দেয়।
পুলিশের ভূমিকা
এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ভগবানগোলা (Murshidabad) থানার পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর নেয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নাবালিকা মেয়ে তার সঙ্গে ঘটা নানা ঘটনার কথা স্পষ্ট ভাবে পুলিশকে জানিয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours