মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে দিদিমণি নেই, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। রাজ্য জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থার যে কতটা কঙ্কালসার অবস্থা, তার চিত্র আরও একবার নজরে উঠে এসেছে এই ঘটনায়। স্কুলের খারাপ মিড ডে মিল, ভাঙা ঘর, শৌচালয়ের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে নানা খবর আগেও জানা গিয়েছিল। এবার শিক্ষকের অভাবে ক্লাস নিচ্ছে স্কুলেরই ছাত্রী। এমন ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) গোঘাট ২ নম্বর বিডিও অফিসের কাছে মান্দারণ দাসপাড়া শিশু শিক্ষা নিকেতনে। এরপর খবর জানতেই তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। নিজেদের চাকরির দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নামঞ্চে বসে আন্দোলন করছেন। অথচ রাজ্যে শিক্ষকের অভাবে ক্লাস নিচ্ছে স্কুলের পড়ুয়ারাই।
কীভাবে চলছে স্কুল (Hooghly)?
স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হিসাবে স্কুলের মোট পড়ুয়া হল ১০৫। শিক্ষিকা রয়েছেন মাত্র ২ জন। কিন্তু ক্লাস নেন একজনই। তবে স্কুলে যিনি ক্লাস নেন তাকে নানান কাজে বাইরে থাকতে হয়। তিন মাসে মাত্র একদিন তিনি স্কুলে আসেন বলে জানা গিয়েছে। স্কুল পড়ুয়ার অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় না বললেই চলে। কোনও দিন পাতে ডিম দিলেও আবার অধিকাংশ দিনে দেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ উঠেছে।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ক্লাস নেন
হুগলির (Hooghly) এই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে বেশিরভাগ দিনে শিক্ষিকা না থাকায় ক্লাস নিতে হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে। এই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পারভিন খাতুন বলে, “আমাদের স্কুলে দিদিমণি বেশি নেই। তাই আমি দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিয়ে থাকি। আমি মূলত বাংলার ক্লাস নিয়ে থাকি।”
স্কুল শিক্ষিকার বক্তব্য
স্কুলের (Hooghly) সহকারী শিক্ষিকা শ্যামলী রায় বলেন, “আমরা মাত্র দু'জন স্টাফ। সেই সঙ্গে স্কুলের রান্নার ব্যবস্থা করতে হয়। আমি একা তাই ক্লাস নিতে অসুবিধা হলে বলি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ক্লাস নিতে।” এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে গোঘাট ২ ব্লকের বিডিও কুন্তলকুমার মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা নেই। তবে প্রধান শিক্ষিকাকে মিড ডে মিলের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours