মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নকাণ্ডে' তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল আজ, মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর। তবে সেই বৈঠক পিছিয়ে ৯ নভেম্বর হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মহুয়াকে আগেই তলব করেছিল এথিক্স কমিটি। সেখানেও মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ আনে এথিক্স কমিটি। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া, এই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ঝাড়খণ্ডের সাংসদের বক্তব্যও শোনে এথিক্স কমিটি। পরবর্তীকালে মহুয়ার বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ৭ নভেম্বর বৈঠক ডাকে এথিক্স কমিটি, তবে তা দুদিন পিছিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই তদন্ত রিপোর্টের খসড়া তৈরি করতে পারে কমিটি।
আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে
এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হয়ে প্যানেলকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন মহুয়া (Mahua Moitra)। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরের অভিযোগ, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ (Mahua Moitra)। অপর প্যানেল সদস্যা অপরাজিতা সারঙ্গি জানান, সমস্ত রকমের শিষ্টাচারের মাত্রা লঙ্ঘন করেছেন মহুয়া মৈত্র। প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে দু'পয়সার সাংবাদিক বলে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন। এতে তাঁকে বয়কট করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। মহুয়ার ঔদ্ধত্য যে একেবারেই বদলায়নি, তা এথিক্স কমিটির কথাতেও পরিষ্কার হয়েছে। এথিক্স কমিটির সামনে কেমন আচরণ করছিলেন মহুয়া? বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গির মতে, ‘‘হাবেভাবে খুবই উদ্ধত ছিলেন তিনি। খুবই রুক্ষ ছিলেন। তিনি ভুয়ো বক্তব্য তৈরি করে দেশের মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন। নিজেকে হেনস্থার শিকার হিসাবে তুলে ধরেছেন।’’ এর আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য শুনেছে এথিক্স কমিটি। অর্থাৎ ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে দুপক্ষের বক্তব্যই ইতিমধ্যে শোনা হয়ে গিয়েছে কমিটির। এবার সংসদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এথিক্স কমিটি।
টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া?
ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া, এই অভিযোগে গত মাসেই নিশিকান্ত দুবে চিঠি লেখেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। এরপরই লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, হীরানন্দানি শিল্পগোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। পরবর্তীকালে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি নিজের হলফনামায় সে কথা স্বীকারও করেন। মোট ৬৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৫০টি প্রশ্নই সাজিয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours