মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্ল্যাটফর্মে উপর হাঁটতে এখনও বুক কাঁপছে। বর্ধমান স্টেশনে (Purba Bardhaman) দাঁড়ানো যাত্রীদের আতঙ্ক এখনও কাটছেনা। বুধবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় আজ স্টেশন চত্বর প্ল্যাটফর্মে থমথমে ভাব রয়েছে। সকল ব্যস্ততার মধ্যে যাত্রীরা অত্যন্ত সাবধান। কেউ কেউ এদিক ওদিক তাকিয়ে ভাবছেন আবার বিপত্তি নেমে আসবে না তো?
অপর দিকে পেটের দায়ে কাজের খোঁজে কলকাতায় যাচ্ছিলেন বছর চল্লিশের বিট্টু দাস। কিন্তু জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রী, বাড়ি বিহারের কাটারিয়া গ্রামে। তাঁর বাড়িতে দুই সন্তান এবং স্ত্রী। সংসারের পুরো দায়িত্ব তাঁর উপরেই। বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। স্ত্রী মালতী এখন কঠিন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনপাত করছেন। কীভাবে চলবে সংসার এটাই এখন বড় প্রশ্ন?
আতঙ্ক এখনও কাটেনি (Purba Bardhaman)!
গতকাল বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত আতঙ্ক কাটছে না বর্ধমান স্টেশনের (Purba Bardhaman) প্ল্যাটফর্মের যাত্রীদের। এক যাত্রী বলেন, “আমি আজ দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে দিয়ে যাওয়ার সময় গায়ে শিহরণ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আরেকবার কিছু একটা বিপত্তি ঘটবে না তো! ভাবতেই অবাক লাগছে সুস্থ সবল মানুষ নিজেদের গন্তব্যে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু গন্তব্য পৌঁছানোর আগেই সময় তাঁদের জীবন কেড়ে নিল জলের ট্যাঙ্ক।”
হাকারদের বক্তব্য
সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনের (Purba Bardhaman) হকারদের বক্তব্য, অনেক দিন ধরে জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে একটা আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আচমকা ভেঙে পড়বে কেউ ভেবে উঠতে পারেনি। অপর দিকে দুর্ঘটনায় মৃত মাফিজা খাতুনের স্বামী মেমারির বাসিন্দা আব্দুল মফিজ শেখ বলেন, "রেলের বিরুদ্ধে এফআইআর করবো। রেলের কর্তব্যে গাফিলতি ছিল।"
রেলের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
গতকাল জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তিন জনের। সেইও সঙ্গে মোট চল্লিশ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রেলের তরফ থেকে মৃতদের পাঁচ লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার করে টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার পর অনেক সময় স্টেশনে ট্রেন চলাচলে ব্যঘাত ঘটেছিল। সাময়িক ভাবে স্টেশনে ব্যাপক ভিড় জমায়েত হয়ে গিয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours