মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্লু ফ্যাক্টরি নিয়ে এখনও স্বপ্ন দেখছেন অবশিষ্ট কয়েকজন শ্রমিক। আসানসোলের (Asansol) ধাদকা এলাকায় অবস্থিত এই ব্লু ফ্যাক্টরিতে একটা সময় কাজ করতেন শত শত শ্রমিক। আর সেই সময় বিশ্বকর্মা পুজো মানেই তিন দিন ধরে অনুষ্ঠান চলত এই কারখানায়। কত লোকের যাওয়া-আসা, লাইট, প্যান্ডেল, ধুমধাম করে জাঁকজমকপূর্ণ পুজো হত এই কারখানায়। চলত দেদার প্রসাদ বিতরণ এবং খাওয়াদাওয়া। এখন বন্ধ কারখানা কবে খুলবে, সেই আশায় প্রহর গুনছেন শ্রমিকরা।
কারখানা বন্ধ বলে কি আড়ম্বরবিহীন বিশ্বকর্মা পুজো (Asansol)?
আজ থেকে এক দশকের বেশি সময় আগেই ঘুচে গেছে সেই সব স্বর্ণ-উজ্জ্বল বিশ্বকর্মা পুজোর দিনগুলি। এখন শুধুই বন্ধ কারখানা (Asansol)। তাই নিরাপত্তা রক্ষীদের পাহারা দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই কারখানায়। অবশিষ্ট কয়েকজন শ্রমিক ছাড়া এই কারাখানায় আর কেউ নেই। বিশ্বকর্মা পূজোতেও নেই কোনও জাঁকজমক এবং আড়ম্বর। নিয়ম রক্ষা করতেই কেবল পুজো করা, ঠিক এমনটা জানাচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। সময়ের কালে জরাজীর্ণ ভগ্নদশায় আচ্ছন্ন এই কারখানা। ব্লু ফ্যাক্টরির শ্রমিক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা কারখানাকে কেন্দ্র করে নতুন কিছুর আশায় বুক বাঁধছেন। কারাখনা বন্ধ হওয়ায় এলাকার অনেক মানুষের কাজ চলে গেছে। মানুষকে বিকল্প কাজের সন্ধান করতে হয়েছে। সবটা মিলিয়ে অনাড়ম্বর বিশ্বকর্মা পুজো কার্যত বন্ধ কারখানায় কর্মহীনতার প্রতীক।
কারখানার শ্রমিকের বক্তব্য
কারখানার এক শ্রমিক নিমাই বাউরি বলেন, “আজ ১৩ বছর ধরে কারখানা বন্ধ। মাত্র কয়েকজন শ্রমিক এই কারখানায় কাজ করেন। আমরা কেবল কয়েকজন মিলে কারখানাকে পাহারা দিচ্ছি। কর্তৃপক্ষ আজ, কাল, পরশু বলে বন্ধ কারখানা খোলার কথা বললেও এখনও পর্যন্ত কোনও সদর্থক ভূমিকা চোখে পড়েনি।” কারখানার নামে আদালতে কেস চলেছে বলে জানা গেছে। তবে মালিক পক্ষ কেসের পরিণতি নিয়ে কিছুই বলছেন না। কেসের সমাধান কবে হবে, সেই বিষয়েও স্পষ্ট করে জানা যাচ্ছে না। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “কারখানার পারিকাঠামো দিন দিন ভেঙে পড়ছে। কারখানায় কোনও বিদ্যুতের পরিষেবা নেই। জরাজীর্ণ এই কারখানা কবে প্রাণ ফিরে পাবে, সেই আশায় আমরা দিন গুনছি। আপাতত আমরা ছোট্ট করেই বিশ্বকর্মা পুজো করছি। মালিক পক্ষ এই পুজোর জন্য কোনও সহযোগিতা করেছেন না। আগে বিরাট ধুমধাম করে পুজো হত। এই বন্ধ কারখানার তালা কবে খুলবে, সেই আশায় দিন গুনছি আমরা”।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours