মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না-হয়, তার জন্য চেষ্টায় শেহবাজ শরিফের সরকার। উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে করুণ আর্থিক পরিস্থিতি সামলাতে পাকিস্তানের এখন বিপুল অঙ্কের ঋণ দরকার। আর নিজেদের সুবিধার্থে পাকিস্তানকে ঋণের ফাঁদে আটকাতে চাইছে চিন। ফাঁদে পা-ও দিতে চলেছে পাক সরকার। চিনের একাধিক ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম পাকিস্তানকে ২৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে, বলে জানিয়েছিলেন পাক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তবে চিনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF)-এর কোপে পড়তে চলেছে ইসলামাবাদ। সূত্রের খবর, চিন থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে আইএমএফ।
আরও পড়ুন: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের
দেশের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত করতে গেলে আইএমএফ থেকে ঋণ নিতেই হবে পাক সরকারকে অভিমত কূটনৈতিক মহলের। ঋণ নিশ্চিত করতে ন্যূনতম গ্যারান্টির অর্থ জমা রাখতে হবে পাকিস্তানকে। সেদেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। দেখাতে হবে, যে তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ঋণ শোধ করতে সক্ষম। এই ন্যূনতম আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করতে ইতিমধ্যেই পেট্রোপণ্যের ওপর ভর্তুকি তুলে নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দাম বেড়েছে জ্বালানির। জ্বালানির এই দাম বৃদ্ধির ফলে পাকিস্তানে বিভিন্ন পণ্যের দাম আরও বাড়তে চলেছে। বারবার জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আইএমএফর থেকে ঋণ নেওয়া প্রসঙ্গে সেখানকার প্রতিনিধির সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের প্রাথমিক কথাও হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন শরিফ।
আরও পড়ুন: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল....
পাকিস্তানের কোষাগার এখন গড়ের মাঠ। তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। আর এই সুযোগেই ঋণের পসরা সাজিয়ে পাকিস্তানের কাছে হাজির হয়েছে সুযোগসন্ধানী চিন। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের জেরে ইসলামাবাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এবার চিন থেকে আরও ঋণ নিলে সমস্যায় পড়বে পাকিস্তান, মত বিশ্লেষকদের।
+ There are no comments
Add yours