মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লড়াইয়ের আরেক নাম যেন চন্দ্রবিন্দু। দারিদ্রতা থামাতে পারেনি তাঁর লড়াই। বাবা-মায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দোকান সামলেছেন। একইসঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। সেই কষ্টই দেখাল সাফল্যের পথ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে তৃতীয় স্থান (HS Rank) অধিকার করলেন তমলুকের চন্দ্রবিন্দু মাইতি। তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। ছেলের কৃতিত্বে খুশি তাঁর বাবা-মাও। ফুটপাথের ধারে সামান্য একটি দোকান রয়েছে তাঁদের। পড়াশোনার পাশাপাশি সেই দোকানে বাবা-মায়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সাহায্য করেও এই নম্বর পেয়ে খুশি চন্দ্রবিন্দু। কিন্তু এতবড় একটা খুশির খবর তাঁদের দুশ্চিন্তাই যেন বাড়িয়ে দিল। এরপর? এরপর পড়াশোনার খরচ জোগাবেন কী করে? যা ছিল, সবই তো শেষ।
কষ্টের দাম (HS Rank) দিয়েছে ছেলে, বললেন মা
তাঁর মা নীলিমা মাইতি জানিয়েছেন, গয়না, জমি বিক্রি করে ছেলেকে পড়িয়েছেন। কষ্টের দাম (HS Rank) দিয়েছে ছেলে। পরবর্তীতে আইআইটিতে গবেষণা করতে চান চন্দ্রবিন্দু। তার জন্য খরচ অনেক। সেই খরচ কীভাবে সামলাবেন, সেটাই এখন মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নীলিমাদেবী বললেন, সেই খরচ জোগানোর পয়সা আমাদের নেই। তাই সবার কাছেই আমরা সাহায্য প্রার্থী। আর্থিক অনটনের মাঝে পাশে পেয়েছেন কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকে। কিন্তু তাঁরা যেটুকু সাহায্য করেছেন, সেটাও তো ফেরত দিতে হবে। আর কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। তাই নিজের জিনিস বলতে যা কিছু ছিল সবই বিক্রি করে দিতে হয়েছে। কিন্তু এত সমস্যার কথা কোনওদিন ছেলেকে বুঝতে দিইনি। ছেলে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করত, তুমি সব কিছু এভাবে শেষ করে দেবে? আমি বলতাম, তাতে কী হয়েছে? তুই মাথা উঁচু করে দাঁড়ালে সেটাই আমার সব পাওয়া।
কী বলছেন চন্দ্রবিন্দু?
চন্দ্রবিন্দু জানিয়েছেন, দাদুর কিছু জমি রয়েছে। সেই জমি বিক্রি করেই হয়তো পড়াশোনার (HS Rank) খরচ চালাতে হবে তাঁকে। সেটাও কম পড়তে পারে। যদি কেউ পাশে দাঁড়ায়, এমনটাই আবেদন তাঁদের। চন্দ্রবিন্দু বলেন, যদি কেউ সাহায্য করে তো খুবই ভালো হয়। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানাচ্ছি, যাতে কিছু সাহায্য পাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours