মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফার একদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। বিজেপির পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে মহিলা বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়িকে। একই সঙ্গে বেধরক মারে গুরুতর আহত হয়েছেন রথিবালার ছেলে সঞ্জয় আড়ি। শুধু তাই নয় আরও ৭ জন বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রত্যেকের অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। এরপরে বিজেপির ক্ষোভের আগুনে আগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর এই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
মাথার খুলি ফেটে যায় (Nandigram)!
তৃণমূল দুষ্কৃতীদের মারের আঘাতে ভয়ঙ্কর ভাবে আহত হন সঞ্জয় আড়ি। তিনি অবশ্য সোনাচূড় (Nandigram) এলাকার বিজেপির এসসি মোর্চার অঞ্চল সভাপতি। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বের করে রড দিয়ে মারা হয়। মা, ছেলেকে বাঁচাতে গেলে এরপর মায়ের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। রড দিয়ে আঘাত করে মারা হয় মাকে। অপর দিকে আহত সঞ্জয়কে পরের দিন বৃহস্পতিবার কলকাতায় আনা হয় চিকিৎসার জন্য। শারীরিক ভাবে ভীষণ আহত হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, মারের আঘাতে তাঁর মাথার খুলি ফেটে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। তাঁকে সুনন্দ বসুর অধীনে নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চলে অস্ত্রোপচার। ডাক্তার অবশ্য জানিয়েছেন তাঁর মাথায় জমে থাকা জমাট বাঁধা রক্ত বের করা গিয়েছে। আপাতত তাঁকে ২৪ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিজেপির বক্তব্য
এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোধ্যায়কে দায়ী করেন। ঘটনার আগের দিন এই তৃণমূল নেতা এলাকায় (Nandigram) উস্কানি মূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তৃণমূলকে নিশানা করেন বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দক্ষিণবঙ্গের যেখানে যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানে সেখানে তৃণমূল গোলমাল অশান্তি তৈরি করছে। তৃণমূলের কোনও জেতার সুযোগ নেই। ভোটের আগে খুন করে এলাকায় ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে। একজন ৫৬ বছরের মহিলাকে খুন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের কোনও সুরক্ষা নেই।”
আরও পড়ুনঃনন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুনের মামলায় নাম জড়াল একাধিক তৃণমূল নেতার
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours