মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৭ তম বর্ষে মণিপুরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে অনেক বছরপর দেখানো হবে হিন্দি চলচ্চিত্র (Hindi Film)। মণিপুরে শেষ হিন্দি চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছিল কুছ কুছ হো তা হ্যায়। প্রায় দুই দশকের পর মণিপুরে জাতি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যেই এই হিন্দি চলচ্চিত্র দেখানোর বিষয়ে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও গত কয়েক মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। সংসদের বাদল অধিবেশনের অনাস্থা প্রস্তাবে মণিপুরের বিষয় নিয়ে সরব হিয়েছেন বিরোধীরা। পাল্টা সরকার পক্ষ থেকে দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস শাসন, নেশা পাচার, মাদক চোরা চালানের কথা বলে, সরকার পক্ষ বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলেছে। এর মধ্যেই প্রেক্ষা গৃহে দেখানো হবে হিন্দি চলচ্চিত্র।
হিন্দি (Hindi Film) চলচ্চিত্র কেন দেখানো হবে?
ট্রাইবাল অর্গানাইজেশন হামার স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের(HSA) পক্ষ থেকে একটি পরিকল্পনা করে চুড়াচাঁদপুর জেলার লামাকা নামক স্থানে একটি হিন্দি (Hindi Film) সিনেমা দেখানো হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য এই সিনেমার নাম বিষয়ে এখনও প্রকাশ করা হয়নি। গত সোমবার হাসা (HSA) র পক্ষ থেকে বলা হয় যে এই সিনেমা কার্যত দুটি জাতির মধ্যে লড়াই সংঘর্ষের কথাকে স্পষ্ট করবে। বহু বছর ধরে এখানকার আদিবাসী সমাজের মানুষের উপর অধিকার কায়েম করেছে, এমন জঙ্গিদের কার্যকলাপকে উদ্দেশ্যে করেই দেখানো হবে চলচ্চিত্র।
কেন বন্ধ ছিল হিন্দি চলচ্চিত্র?
এই মণিপুরে শেষ হিন্দি চলচ্চিত্র(Hindi Film) দেখানো হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। দেশ বিরোধী শক্তিগুলি দেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনটিকে অমান্য করে আর তাই মণিপুরের মানুষকে দেশ বিরোধী শক্তি থেকে স্বাধীনতা লাভ করতে হবে মনে করে হাসা। রেভল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্ট(RPF) নামক আরও এক সংগঠন, ২০০০ সাল থেকে হিন্দি চলচ্চিত্রের উপর নিশেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০০০ সালের সেপ্টম্বরেই প্রায় ৬০০০ থেকে ৮০০০ টাকার হিন্দি অডিও, ভিডিও ও ক্যাসেট নষ্ট করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আরপিএফ যদিও সেই ভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞার কথা না বললেও, তারা মনে করে বলিউডের চলচ্চিত উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষের সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম, জীবনের মধ্যে খারাপ প্রভাব ফেলে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours