Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বাড়ছে হয়রানি! শুধু অস্ত্রোপচার নয়, সাধারণ পরীক্ষাতেও জটিলতা!

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে ভোগান্তি সাধারণের! কেন এই অবস্থা? 
Swasthya_Sathi
Swasthya_Sathi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য‌বাসী নিখরচায় পাবেন স্বাস্থ্য পরিষেবা।‌ শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়, বেসরকারি হাসপাতালেও অস্ত্রোপচার থেকে যে কোনও শারীরিক পরীক্ষা হবে বিনামূল্যে। এমনই প্রতিশ্রুতি ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু বাস্তবের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হয়রানি বাড়ছে। বেসরকারি হাসপাতালে তো বটেই। অভিযোগ উঠছে, সরকারি হাসপাতালেও পিপিপি মডেলে গড়ে ওঠা পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না।‌ ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা রাস্তার হোর্ডিংয়েই আটকে রয়েছে। 

কী সমস্যায় পড়ছেন ভুক্তভোগীরা? (Swasthya Sathi) 

ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি করাতে বিস্তর হয়রানি পোহাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই জরুরি পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি নিতে নারাজ বেসরকারি হাসপাতাল।‌ আবার যে কোনও অস্ত্রোপচার, গলব্লাডার থেকে হৃদযন্ত্র, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে করাতে হলে অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করতে হয়। এবার সেই তালিকায় সংযোজন হচ্ছে নানা শারীরিক পরীক্ষা। এমআরআই, সিটি স্ক্যানের মতো শারীরিক পরীক্ষার পাশপাশি যে কোনও সাধারণ রক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ভোগান্তি বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে যে কোনও শারীরিক পরীক্ষা করাতে হলে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের শিক্ষক-চিকিৎসকের অনুমতি প্রয়োজন। এমন কর্তৃপক্ষ লিখিত অনুমতি দিলে তবেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে (Swasthya Sathi) শারীরিক পরীক্ষা করানো যাবে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ জায়গায় সহকারী অধ্যাপক স্তরের শিক্ষক-চিকিৎসক থাকেন না। এমন বহু সরকারি হাসপাতালে এই পর্যায়ের চিকিৎসক নেই। সেখানে তাই সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। সরকারি হাসপাতালের পিপিপি মডেলে তৈরি পরীক্ষাগারেও মোটা টাকার বিনিময়ে একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছেন রাজ্যবাসী। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, এমন সরকারি জটিলতা যেখানে, সেখানে কেন বারবার খোদ প্রশাসনিক প্রধান বলেন, এ রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পান।

কী বলছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা? (Swasthya Sathi) 

স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য হয়রানির অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) অপব্যবহার রুখতেই এই কড়া পদক্ষেপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় ভাবে সিটি স্ক্যান, এমআরআই সহ একাধিক ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যার জেরে সাধারণ মানুষের পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা রাজ্যবাসী ঠিক মতো পান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা রোগীকে কখন করাতে হবে, সেটা তো চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন।‌ অনেক জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। তখন কীভাবে নির্দিষ্ট পদাধিকারীর লিখিত অনুমতির জন্য রোগী অপেক্ষা করবেন। এই ধরনের সিদ্ধান্তে আসলে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles