মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় সাফল্য পেল ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে, লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে হামাস নেতা সালেহ আল-অরৌরি। প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের (Hamas) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিল এই জঙ্গি নেতা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতাও বলা হত আল-অরৌরিকে। ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের ড্রোনের নিশানায় খতম হল এই জঙ্গি।
হামাস নেতার মৃত্যু নিয়ে কী বলছে হিজবুল্লা
লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লার তরফে এদিন জানানো হয়েছে, রাজধানী বেইরুটের খুব কাছেই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে হামাস (Hamas) নেতা অরৌরির। হিজবুল্লার আরও দাবি, গাজায় হামাসের কার্যকলাপ এবং গত ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগ ছিল না এই জঙ্গি নেতার। ইজরায়েলের হানায় অরৌরির যোগ না থাকা নিয়ে এটা হিজবুল্লার দাবি মাত্র। কারণ হামাসের (Hamas) প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হল লেবাননের এই জঙ্গি গোষ্ঠী। অরৌরি আর এক প্যালেস্তাইনি ভূখণ্ডে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে হামাসের প্রধান ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে হামাসের অন্য়তম গেরিলা বাহিনী আল কাসাম ব্রিগেড তাঁর নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হত বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর আচমকাই আকাশ-স্থল-জলপথে জঙ্গি হামলা চালায় হামাস। এতে ১,৪০০ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। তারপরেই পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। সেই থেকেই চলছে যুদ্ধ।
ইজরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই তাকে খুঁজছিল
দীর্ঘদিন ধরেই ইজরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল এই জঙ্গি নেতা। জানা গিয়েছে, হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদার নেতা অরৌরি। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর আগেই ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাষণে উঠে আসে অরৌরির নাম। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু থেকে প্রায় ৩ মাসের কাছাকাছি সময়ে হত হল অরৌরি। তবে শুধু হামাস (Hamas) জঙ্গি নয়, মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলি হানায় খতম হয়েছে আরও এক জঙ্গি। গত সপ্তাহেই সিরিয়ায় অভিযান ইজরায়েলি সেনা। সেই হামলায় ইরান সেনার ‘এলিট’ বাহিনী ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ (আইআরজিসি)-এর শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার সইদ রাজি মৌসাভি নিহত হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours