Government Land: সরকারি জমি বেদখল হচ্ছে, কার্যত মেনে নিল রাজ্য! প্রশাসনকে পরামর্শ শুভেন্দুর

Department of Land Reforms: রাজ্যে জমি জবরদখল রুখতে পদক্ষেপ প্রশাসনের...
parliament_-_2024-06-21T165510110
parliament_-_2024-06-21T165510110

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে জমি মাফিয়াদের দাদাগিরি। জমি মাফিয়াদের আটকাতে পারছে না সরকার ও প্রশাসন। সরকারি জমি (Government Land) বেদখল হচ্ছে, সেটা কার্যত মেনেও নিল রাজ্য প্রশাসন। সাম্প্রতিককালে, আদালতে এই নিয়ে মামলায় জোর সমালোচনা ও ধাক্কার সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যকে। বৃহস্পতিবারই এ নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সচিব মনোজ পন্থ (Department of Land Reforms) রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও কালেক্টরদের চিঠি দিয়েছেন। 


বিরোধী দলনেতার দাবি

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, সরকারি জমি (Government Land) জবরদখল করে গড়ে উঠছে তৃণমূলের পার্টি অফিস, কোথাও রোহিঙ্গারা উড়ে এসে জুড়ে বসে দখল করছে জমি। কিন্তু সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। বিরোধী ও নানান মামলায় আদালতের চাপে অবশেষে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক। সম্প্রতি কোথায় রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের জমি জবর দখল হয়ে রয়েছে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সব দফতরের প্রধান এবং জেলাশাসকদের নিজের এলাকার সরকারি জমির তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেন তিনি। নবান্ন থেকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ১১ তারিখে যে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সব সরকারি জমির তালিকা করতে হবে। সেই তালিকা ২১ জুনের মধ্যে আন্ডার সেক্রেটারিকে মেল করে জানাতে হবে।

দুর্নীতির স্বীকারোক্তি মুখ্যমন্ত্রীর

উল্লেখ্য,পুলিশ কর্তা ও সরকারি আধিকারিকদের বৈঠকে কলকাতা ও বিধাননগরে সরকারি জমি (Government Land)  দখল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিতে নবান্নে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবিও করেন যে, সরকারি কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা রয়েছে। তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। এর আগে সন্দেশখালি থেকে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতিতে জোর ঝড় উঠেছিল। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতির বৈঠকে নির্দেশ দেন, কলকাতায় জমি মাফিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একই সঙ্গে বিধাননগরেও জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহর কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশি উদাসীনতা রয়েছে । জানা গিয়েছে, এদিন এই জমি দখল নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ৷ এই জমি দখল নিয়ে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা কী, তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: “বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে নয়া যোগ-অর্থনীতির”, যোগ দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

আদালতে ধাক্কা

সম্প্রতি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়। সেই কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বেদখল হওয়া জমি (Department of Land Reforms) নিয়ে মুখ্যসচিবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষে বিদ্ধ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু নিজের সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, তৃণমূল ও তার শাখা সংগঠন কোথায় কত সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে তা উল্লেখ করা হোক। আবার, রোহিঙ্গারা বাংলায় কতখানি জমি জবরদখল করে রেখেছে তাও খতিয়ে দেখা উচিত, বলে মনে করেন শুভেন্দু। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles