মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মুসলিমরা ধর্মান্তকরণের মাধ্যমেই হিন্দু থেকে ইসলামকে গ্রহণ করেছেন - এ তত্ত্ব আজ প্রতিষ্ঠিত। হিন্দু সংস্কৃতিকে ভালোবেসে তাই অনেকেই ফিরে আসছেন সনাতন ধর্মে। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই ঘটনা দেখা দেল পূর্ব ভারতের অসম ও পশ্চিমবঙ্গে। 'ঘর ওয়াপসি'-র পরে মুসলিম মেয়েদের নামকরণও বদলে গেল (Ghar Wapsi)। বিবাহ বন্ধনে প্রত্যেকেই আবদ্ধ হলেন হিন্দু ছেলের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের বানু খাতুন হলেন অনু এবং অনীশা খাতুন হলেন অন্বেষা। অন্যদিকে অসম রাজ্যের আমিনা হলেন রাধা রবিদাস।
পশ্চিমবঙ্গের 'ঘর ওয়াপসি' (Ghar Wapsi)
তবে 'ঘর ওয়াপসি'-র এই কাজ যে খুব সহজে হয়েছে এমনটা নয়। তাঁদেরকে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়। কোনও ভাবেই দুই কন্যার বাড়ির লোকজন চায়নি এমন সম্পর্ক মেনে নিতে। এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংহতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রীতিমতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে তাঁদেরকে হিন্দু সমাজে স্বাগত জানানো হয়। 'ঘর ওয়াপসি'-র মাধ্যমে হিন্দু ধর্মে ফিরে আসা প্রত্যেকেই মনে করছেন, এই ধর্মে মেয়েদের জন্য রয়েছে ব্যাপক স্বাধীনতা ও সম্মান। 'ঘর ওয়াপসি'-র পরপরই প্রত্যেকে নিজেদের পরিচয়কে গোপন রেখেছিলেন তাঁদের নিজস্ব নিরাপত্তার কারণেই। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি 'ঘর ওয়াপসি'র ঘটনা সামনে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার লুৎফন্নেসা খাতুন হিন্দু ধর্মকে গ্রহণ করেছেন।
অসমের 'ঘর ওয়াপসি' (Ghar Wapsi)
অন্যদিকে অসমের 'ঘর ওয়াপসি'-র (Ghar Wapsi) ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার করিমগঞ্জ জেলাতে। সেখানে নতুনভাবে ঘর বেঁধেছেন ইসলাম ত্যাগ করে আসা আমিনা। তাঁকেও স্বাগত জানাতে রীতিমতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ২৬ মে আমিনাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা যায়, ২০২০ সালেই প্রেমিক শ্যাম রবিদাসকে বিয়ে করেন আমিনা। জানা গিয়েছে, শ্যামের পরিবার আমিনার পরিবারের সঙ্গে বিবাদে যেতে চায়নি। তাই তারা মানেনি এই বিয়ে। কিন্তু দম্পতি বিশেষ বিবাহ আইনে স্বামী-স্ত্রী হয়ে যায়, তাই তাদের পরিবার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতেও পারেনি। চার বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে থাকে তারা। এই সময়ের মধ্যে আমিনা একটি সন্তানের মা হয়। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে শ্যাম এবং আমিনা ফিরে আসার কথা চিন্তা করে। এরপরেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদে এগিয়ে আসে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours