মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সংস্কৃতির পুনরুত্থান। ৭৫ বছর পর গঙ্গা আরতি হল কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় কিষাণগঙ্গা নদীতে। উত্তর কাশ্মীরে সীমান্তের কাছে এই আরতি উপলক্ষে বহু মানুষের সমাগম হয়। দেশভাগের পর এই প্রথম কিষাণগঙ্গায় আরতি হল। নিস্তব্ধ প্রকৃতির কোলে গঙ্গা বন্দনা মনে শান্তি জাগায়।
উপত্যকায় নতুন ভোর
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসিবে কাশ্মীররকে তার পুরানো ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কাশ্মীরে সংস্কৃতির প্রচার হচ্ছে। গঙ্গা আরতি হল উপত্যকায় এক নতুন ভোরের সূচনা এবং কাশ্মীরের সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার অনুসন্ধান। সীমান্তের কাছে টিটওয়াল অঞ্চলে পবিত্র আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গঙ্গারতি করা হয়। উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে নবনির্মিত এই ঘাট, শারাদেশের ভক্ত এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে। এর ধারে শারদা মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে কাশ্মীরী পণ্ডিতরা খুব খুশি।
Kashmir: Ganga Aarti on the banks of River Kishanganga at Teetwal close to LoC in North #Kashmir's Kupwara district held for the first time yesterday after a gap of 75 years at the newly constructed Ghat.
— Nishant Azad/निशांत आज़ाद🇮🇳 (@azad_nishant) April 11, 2024
Scores of pilgrims from all over the country took part in the event.
This… pic.twitter.com/oFra2ZXlpy
গত বছরই জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় মা শারদা মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কর্তারপুর স্টাইলে করিডোর তৈরি জন্য শারদা মন্দির কমিটির আবেদনও ভেবে দেখছে সরকার। স্বাধীনতার আগে কুপওয়ারার টিটওয়ালে মা শারদার মন্দির ছিল। ওই সময় কিষাণগঙ্গা নদীর তীরে একটি গুরুদ্বারের সংলগ্ন এলাকায় ছিল মন্দিরটি। কিন্তু ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পাক হানাদারদের হাতে ধ্বংস হয় মন্দিরটি। ঘটনার কয়েক বছর পর থেকেই ওই এলাকায় ফের মা শারাদা মন্দির তৈরির দাবি উঠছিল। প্রায় ৭৬ বছর পর মন্দিরটি ফের তৈরি করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এবার কিষাণগঙ্গা নদীতে শুরু হল আরতি। ঐতিহাসিকদের দাবি, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের এই শারদা মন্দিরের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। ভারতীয় উপমহাদেশ তো বটেই, মধ্য এশিয়া থেকেই পুণ্যার্থীরা এখানে আসতেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours