Gang Rape: অশোকনগরে এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

উত্তর ২৪ পরগনায় এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
Gang_Rape
Gang_Rape

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে। অভিযোগ, অচৈতন্য অবস্থায় যুবতীকে গভীর রাতে যশোর রোডের পাশে অশোকনগরের একটি কলেজের সামনে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবকরা। পুলিশ খবর পেয়েই মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গণধর্ষণের অভিযোগে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, এত কাণ্ড হওয়ার পরও পুলিশ কিছু জানতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gang Rape)

মাদক খাইয়ে যুবতীকে অচৈতন্য করে গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অশোকনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চার অভিযুক্তের নাম তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই সিকদার এবং গোপাল পাল। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর ৫ নম্বর সুভাষপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা যুবতী পানশালায় নর্তকীর কাজ করেন। যুবতীর পূর্ব পরিচিত আকাশের কাছে টাকা ধার চায় এই যুবতী। আর এই টাকা ধার দেবে বলেই রবিবার সন্ধ্যার পরে আকাশ ওই যুবতীকে অশোকনগরে ডাকে। এর পরেই আকাশ ওই যুবতীকে আরেক অভিযুক্ত টুকাই সিকদারের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবতীকে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে চার বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপরে গভীর রাতে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কমার্স কলেজের সামনে যুবতীকে ফেলে চম্পট দেয় ওই চার যুবক। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন খবর পেয়ে নির্যাতিতাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যায় অশোকনগর হাসপাতালে। সেখানে বসেই ওই যুবতী পুলিশের কাছে ওই চার যুবকের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে অশোকনগর সুভাষপল্লি এলাকা থেকে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। সোমবার তাদের চারজনকে বারাসত আদালতে পাঠানো হয়।

কী বললেন নির্যাতিতা যুবতী?

নির্যাতিতার বক্তব্য, 'আমার সঙ্গে আকাশ চক্রবর্তীর পরিচয় ছিল। আমার কিছু টাকার প্রয়োজন হয়েছিল, আকাশকে বলেছিলাম। ও টাকা দেওয়ার জন্য এদিন রাতে আমায় ডাকে। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে অচৈতন্য করে আকাশ সহ মোট চারজন গণধর্ষণ (Gang Rape) করে। পরে আমাকে একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।' দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবিতে সরব নির্যাতিতার মাও।

কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

এদিন বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, যুবতীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসার পর সমস্ত কিছু বলা যাবে। এদিন নির্যাতিতাকে দেখতে বারাসত হাসপাতালে আসেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এদিন তিনি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত পৈশাচিক। দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি ওই পরিবারের পাশে আছি।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles