মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল হেরিটেজ টয় ট্রেন (Toy Train)। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনের পর ফের বৃহস্পতিবার। এদিন দার্জিলিং থেকে ঘুমে যাওয়ার পথে টয় ট্রেনের জয় রাইডের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। কেউ হতাহত না হলেও দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা। এক মাসের মধ্যে পাঁচবার টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় বিপাকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল ( ডিএইচার)।
ঠিক কী হয়েছিল? (Toy Train)
বৃহস্পতিবার দুপুরে দার্জিলিং থেকে ৫৯ জন যাত্রী নিয়ে টয় ট্রেনের একটি জয় রাইড ঘুমের উদ্দেশে যাত্রা করে। বেলা দুটো নাগাদ ঘুম স্টেশনের কাছে মেরি ভিলার কাকঝোরায় হঠাৎই ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। ঝাঁকুনিতে আতঙ্কে পর্যটকরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ট্রেনটিকে লাইনে তুলে ফের চালানো হয়েছে বলে জানান ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। যাত্রীদের সকলেই সেই ট্রেনে (Toy Train) আবার ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিরক্তি প্রকাশ করে বেশ কিছু পর্যটক সড়ক পথে দার্জিলিং ফিরে যান।
পরপর দুর্ঘটনায় পর্যটকদের বিরক্তি ও ভীতি (Toy Train)
ভরা পর্যটন মরশুমে পর পর টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় দেশ-বিদেশের পর্যটরা হতাশ। ঘুরতে এসে এই ধরনের ঘটনায় টয় ট্রেন নিয়ে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, ভীতিও বাড়ছে। কেননা এক মাসের মধ্যে পাঁচবার এই ধরনের ঘটনা ঘটল। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে একটি জয় রাইড দার্জিলিং স্টেশন থেকে রওনা হওয়ার ১০ মিনিট বাদে লাইনচ্যুত হয়। তার আগে ১৫ ডিসেম্বর দার্জিলিংয়ে পর্যটক ঠাসা টয় ট্রেনের একটি জয় রাইডের ইঞ্জিন লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে যাত্রী ঠাসা টয় ট্রেন রংটংয়ের কাছে ইঞ্জিন বিভ্রাটে থমকে পড়ে। সেই ট্রেন আর চালানো যায়নি সেদিন। গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে কার্শিয়াংয়ের কাছে লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেনের (Toy Train) একটি লাইট ইঞ্জিন। তবে এতে কোনও যাত্রী ছিল না।
ইউনেস্কোর সতর্কবার্তায় বিড়ম্বনা (Toy Train)
আর এর মধ্যেই রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ডিএইচআরকে সতর্ক করেছে ইউনেস্কো। যা ডিএইচআর কর্তাদের বিড়ম্বনায় ফেলেছে। পরপর দুর্ঘটনার মাঝে ইউনেস্কোর সতর্কবার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইউনেস্ক হেরিটেজ টয় ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ সহ দার্জিলিং এবং ঘুম স্টেশন সংস্কারের কাজ নিয়ে ডিএইচআরকে সতর্ক করেছে। যেভাবে কাজ চলছে তাতে ইউনেস্কো সন্তুষ্ট নয়।
কী বলছেন রেলকর্তারা?
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ছোট ট্রেন (Toy Train), চাকাও ছোট। মাঝে মধ্যে এধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। তবে প্রতিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে। ইউনেস্কোর পরামর্শ মতোই আমরা কাজ করছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours