মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাওবাদী হামলার শিকার সিআরপিএফ জওয়ান। মাওবাদীদের সঙ্গে এনকাউন্টারের সময় হঠাৎ আইইডি বিস্ফোরণে জখম হলেন পাঁচজন সিআরপিএফ জওয়ান (CRPF jawans)। বিস্ফোরণের পর এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় (Chaibasa)। ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছিল বলে জানা গিয়েছে। আর সেসময়ই এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পরেই আহত জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি রাঁচীর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চাইবাসায় আইইডি বিস্ফোরণ
ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী অধ্যুষিত চাইবাসা শহরে প্রায়ই মাওবাদীদের হামলার শিকার হতে হয়। আজও সেই ঘটনাই ঘটল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার চাইবাসার টোন্টো থানার টুম্বাহাকা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী। এনকাউন্টার চলাকালীন আচমকা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় আনন্দরাও লাঠকার বলেন, “আজ সকাল থেকে চাইবাসায় মাওবাদীদের সঙ্গে দুটি সংঘর্ষ হয়েছে, যার ফলেই ৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। তাঁদের হেলিকপ্টারে করে আনা হয়েছে এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ডিসেম্বরেই এই জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনীদের সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ হয়। সেদিনও পাঁচ জন জওয়ান আহত হয়েছিলেন। এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের গারওয়া এবং চাতরা জেলা থেকে অত্যাধুনিক আমেরিকান অস্ত্র সহ এক টিএসপিসি বিদ্রোহীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আবার নকশাল সাব-জোনাল কমান্ডার রবীন্দ্র মেহতা ওরফে ছোটা ব্যাসকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গারওয়া জেলার মাঝিয়াওঁ থানার অন্তর্গত বুডিখান্দ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের মতে, রবীন্দ্র মেহতা বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় ছিল এবং দুই রাজ্যে ১৬টি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল সে। এর আগে টিএসপিসি-র কমান্ডার ভাইরো গাঞ্জুকে চাতরা জেলার সিমারিয়া থানার অন্তর্গত কাসিয়াতু বন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক আমেরিকান অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। গাঞ্জু ১৬ টিরও বেশি মামলায় ওয়ান্টেড ছিল এবং ঝাড়খণ্ডের চাতরা, পালামু এবং লাতেহার জেলায় সক্রিয় ছিল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মাওবাদী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে কেন্দ্রের দাবি, সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার জেরেই মাওবাদীদের আগের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours