FIFA World Cup 2022: প্রত্যাশামতোই রবিবার মেসি বনাম এমবাপে! মরক্কোর স্বপ্নের দৌড় থামিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

ফ্রান্সের হয়ে গোল করলেন থিয়ো হের্নান্দেস এবং রান্দাল কোলো মুয়ানি। দু’টি গোলের পিছনেই রয়েছে এমবাপের পায়ের কাজ
n302dl7o_france_625x300_15_December_22
n302dl7o_france_625x300_15_December_22

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দ্বিতীয়বার কাপ জয়ের সামনে ফ্রান্স। ২০১৮ সালের পর আবার ২০২২। চার বছর পর ফের বিশ্বজয়ের দোড়গোড়ায় কিলিয়ান এমবাপে, গ্রিজম্যান, জিহু, দোম্বেলরা। মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। রবিবার ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা।  

থামল মরক্কো মিরাকেল

এবারের বিশ্বকাপে বারবার চমকে দিয়েছে মরক্কো। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করে, বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো ফুটবলের মহাশক্তিধর দেশকে একের পর এক হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছিলেন আশরফ হাকিমি, হাকিম জিয়েচরা। কিন্তু এদিন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে প্রথম থেকেই হারিয়ে যায় মরক্কো। শুরু থেকে শেষ মাঠে দাপট দেখাল ফরাসিরা। প্রথমার্ধে খেলার ৫ মিনিটের মধ্যেই থিও হার্নান্ডেজের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে এরপর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় আফ্রিকার দেশটি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে হার্নান্ডেজের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অথচ এই ম্যাচে তিনিই প্রথম গোলটি করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন। গোল হজম করার পর বল পাস ও বল পজিশনে ফ্রান্সকে টেক্কা দিয়েছিল মরক্কো। একটা সময় ৫৭ শতাংশ বল পজিশন নিয়ে খেলছিল মরক্কো। ৪৩ শতাংশ বল পজিশন দেশঁর দলের। কিন্তু বারবার ডি বক্সে ঢুকেও গোলমুখ খুলতে পারেননি জিয়েশ,হাকিমিরা। দ্বিতীয়ার্ধে  ৭৯ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স। থুরামের থেকে পাস নিয়ে মরক্কোর বক্সে ৩-৪ জনকে কাটিয়ে বল মুয়ানির দিকে বাড়িয়ে দেন এমবাপে। গোলকিপারকে একা পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি মুয়ানি। ২-০ ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার পর ফ্রান্সের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। 

আরও পড়ুন: জোড়া গোল আলভারেজের! মেসি-ম্যাজিকেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

বল সাজালেন এমবাপে

বিশ্ব ফুটবলে পাঁচ বছর ধরে নিজের দাপট দেখাচ্ছেন ফ্রান্সের শহুরে এলাকা বন্ডির যুবক কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসি আক্রমণের মূল স্তম্ভ তিনি। এদিনও দু’টি গোল অনায়াসে লেখা হতে পারত এমবাপের নামেই। কিন্তু স্কোরশিটে দেখাবে তাঁর কোনও সতীর্থের নাম। এই ম্যাচের আগে তাঁকে যে কড়া মার্কিংয়ে রাখা হবে,সেটা অজানা ছিল না। সেই কাজ দেওয়া হয়েছিল তাঁরই পরম বন্ধু এবং ক্লাবের সতীর্থ আশরফ হাকিমির উপর। হাকিমি পুরোপুরি বোতলবন্দি করে রাখতে পারেননি বটে, কিন্তু ম্যাচের বেশির ভাগ সময়টাই খুব একটা জায়গা পাননি এমবাপে। কিন্তু একটা সুযোগেই যে বাজিমাত করতে পারেন, তিনিই আসল ফুটবলার। এমবাপে তাই করলেন। দুটো ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন, দুটোতেই গোলের চেষ্টা করলেন। নিজের গোল না হলেও দলের হল। তার সাজিয়ে দেওয়া বলে গোল করলেন সতীর্থ হার্নান্ডেজ ও মুয়ানি। ফ্রান্স চলে গেল ফাইনালে। এখন অপেক্ষা শুধুই সোনালি ইতিহাস লেখার।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles