Odisha train Accident: মর্গে স্তূপাকার মৃতদেহ, তার মধ্যেই অচৈতন্য ছেলেকে খুঁজে পেলেন বাবা!

সাদা কাপড়ে ঢাকা সারি সারি মৃতদেহ, আচমকা নড়ে উঠল হাত!
Odisha_Train_Accident_(1)
Odisha_Train_Accident_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃতদেহের স্তূপের মধ্যে পড়ে ছিলেন তিনি। কোনওক্রমে শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে বলে ফোনে জানিয়েছিলেন বাবাকে। তারপর বাবা বালেশ্বরে গিয়ে অস্থায়ী মর্গের ভিতর থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনলেন কলকাতায়। রক্তাক্ত মরদেহের স্তূপের মধ্যে থেকে অচৈতন্য ছেলেকে শনাক্ত করে খুঁজে বের করাটা খুব কঠিন কাজ ছিল, বললেন বাবা।

দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) খবর পেয়েই ছুটে যান বাবা

বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) পশ্চিমবঙ্গের শতাধিক মানুষ মারা গেছেন বলে জানা গেছে। অস্থায়ী মর্গের মধ্যে শতাধিক মৃতদেহের মধ্যে থেকে হাওড়ার বাসিন্দা হেলারাম মালিক তাঁর ২৪ বছরের ছেলে বিশ্বজিৎ মালিককে জীবন্ত অবস্থায় খুঁজে বের করেন। বাবা গত শুক্রবার শালিমার স্টেশনে গিয়ে ছেলেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছেড়ে দিয়ে আসেন। কিন্তু কিছু সময় পরই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চিন্তায় পড়েন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বুঝতে পারছিলেন না, কী করবেন! কয়েকবার ফোন করেন ছেলেকে। কিন্তু ফোন লাগছিল না। কিন্তু পরে ছেলেই বাবাকে দুর্বল স্বরে জানান, তিনি আহত হয়েছেন। হাত-পায়ে চেতনা নেই বললেই চলে। এরপর হেলারাম এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন।

কীভাবে মর্গের ভিতরে খুঁজে পেলেন?

ঘটনাস্থলে পৌঁছেই প্রথমে বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) হাসপাতালে হন্যে হয়ে খোঁজ করেন ছেলের। কিন্তু কোনও সন্ধান পাননি। মনে মনে ভাবছিলেন, আর মনে হয় ছেলেকে পাবো না! এতক্ষণে আহত ছেলে বেঁচে আছে না মারাই গেছে, কে জানে? অবশেষে মনে সাহস নিয়ে বাহানাগা স্কুলের অস্থায়ী মর্গের ভিতরে ঢোকেন। সেখানে সাদা কাপড়ে ঢাকা সারি সারি মৃতদেহ। চারদিকে রক্তাক্ত আর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। হঠাৎ মৃতদেহের স্তূপের একটি জায়গা থেকে নড়ে উঠল হাত। সেখানে চোখ পড়ল হেলারামের। কাছে যেতেই দেখলেন বিশ্বজিৎ। বুঝলেন, ছেলের এখনও শুধু প্রাণটুকুই শরীরে রয়েছে। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সে করে বালেশ্বর থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান ছেলেকে। হেলারামবাবু বলেন, ভাবতে পারিনি ছেলেকে মর্গ থেকে এই অবস্থায় জীবন্ত ফিরে পাব। ভগবানের আশীর্বাদ ছিল বলে ওকে ফিরে পেলাম। এরকম দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেই কামনাই করি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles