মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল পুলিশ (জিআরপি), মথুরা পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ল জাল নোটের (Fake Currency) আন্তর্জাতিক চক্র। চিন থেকে আমদানি করা সরঞ্জাম দিয়ে নোট ছাপানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। চক্রের 'কিংপিন'- কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী কী উদ্ধার হয়েছে?
মথুরা জিআরপি এবং বারাণসীর পুলিশ কমিশনারেটের যৌথ দল রবিবার মুকেশ ওরফে রৌনককে গ্রেফতার করেছে। মুকেশই এই চক্রের মাথা। পুলিশ এই ব্যক্তির মাথার দাম রেখেছিল ২৫,০০০ টাকা। বারাণসী থেকে গ্রেফতার করা হয় রৌনককে। গোয়েন্দারা ২১,০০০ টাকা মূল্যের জাল মুদ্রা (Fake Currency), অর্ধ-মুদ্রিত জাল নোট, জাল নোট ছাপার সরঞ্জাম এবং আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জাল মুদ্রা (Fake Currency) ছাপানোর জন্য ব্যবহৃত উপকরণ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন, ল্যামিনেশন মেশিন, পাঞ্চিং মেশিন, বিভিন্ন আকারের ফ্রেম স্লাইডার ইত্যাদি। চিনা সংস্থা www.alibaba.com এবং Guangzhou Bonedry Co. Ltd থেকে আমদানি করা হয়েছিল সরঞ্জামগুলি। চক্রটি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং দেশের অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।
৯ ডিসেম্বর প্রথম এই মামলায় রৌনকের নাম সামনে আসে। সেই সময় মথুরা জিআরপি ১.৫ লক্ষ টাকার জাল নোট সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের থেকেই পুলিশ রৌনকের নাম জানতে পারে।
আরও পড়ুন: '২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান', বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির
মথুরার এসপি জিআরপি মুস্তাক আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "জিআরপি একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং জাল মুদ্রার অবৈধ ব্যবসায় জড়িত গ্যাংয়ের নেতা এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আটটি দল গঠন করে। দলগুলি ক্রমাগত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বারাণসী পুলিশের সহায়তায় শ্রীনগর থেকে রৌনককে গ্রেফতার করে। অভিযান চালানো স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে জাল মুদ্রার নোট এবং মুদ্রণের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।”
রৌনক মথুরা জিআরপির হেফাজতে রয়েছে এবং বারাণসী পুলিশ জাল নোট তৈরির সমস্ত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। পুলিশ এখন মথুরায় যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে।
+ There are no comments
Add yours