Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে নকল মদ তৈরির কারখানার হদিশ মিলল তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে, শোরগোল

Trinamool Congress: তৃণমূল কর্মীর মদতেই নকল মদ তৈরির কারখানার রমরমা, সরব বিজেপি
Jalpaiguri_(1)
Jalpaiguri_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ বালি পাথর পাচারের পরে এবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ির রামশাই এলাকায় উদ্ধার হল নকল মদ তৈরির কারখানা। এই কারখানার মালিক নিরঞ্জন রায়। তিনি ওই এলাকার যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সহ সভাপতি। বর্তমানে তিনি তৃণমূল কর্মী। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নিজের বাড়িতে নকল মদ তৈরির কারখানা তৈরি করে কারবার করছিলেন। ঘটনার পর থেকে উধাও অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী।

ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) আবগাড়ি দফতরের পক্ষ থেকে তার বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তাদের চক্ষু চড়কগাছ হবার যোগার। গোটা বাড়ি ভর্তি মদ তৈরির সরঞ্জাম, সঙ্গে কার্টুন কে কার্টুন নকল মদ মিলেছে। এদিকে আবগারি দফতরের গাড়ি দেখেই নিরঞ্জন ও তাঁর বাড়ির লোকজন আগেই চম্পট দিয়েছে। সব চাইতে বড় কথা নিরঞ্জনের প্রতিবেশীরাও বিষয়টি ঘুনাক্ষরে টের পাননি। সেখানে যে এইভাবে মদ তৈরি হত, সেটা তাদের গোচরে আসেনি। পাশাপাশি এলাকার মানুষ জানান, নিরঞ্জন রায় এলাকায় একজন কুখ্যাত ব্যক্তি বলেও খানিকটা পরিচিত। তাই তিনি কি করত বা করছে সেই দিকে কেউ নজর দিতেন না। তবে তাঁর বাড়িতে যে বেআইনিভাবে মদ তৈরি হত এটা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেন নি। গোটা ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মদের পরিমাণ এতটাই ছিল, যে আবগারি দফতরকে বেশ কয়েকটি গাড়ি ডাকতে হয়। দুটি ট্রাক ও ৫ টি পিক-আপ ভ্যানের প্রয়োজন হয় উদ্ধার হওয়া মদ গুলি নেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

আবগারি দফতরের আধিকারিক কী বললেন?

আবগারি (Jalpaiguri) দফতরের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল যে এখানে নকল মদ তৈরি হয়। কিন্তু, এত পরিমাণ মদ তৈরি হওয়ার কথা তারাও ভাবতে পারেননি। বেশ কয়েক ব্যারেল মদ তৈরির সরঞ্জাম এবং প্রায় ৬০০ কার্টুন তৈরি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তের বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে আবগারি দফতর সূত্রে জানা গেছে।

শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

এই  বিষয়ে রামশাই অঞ্চলের (Jalpaiguri) তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি জানান, নিরঞ্জন আগে যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানে তিনি দলের কোনও পদে নেই। তার চাল চলন দেখে দলের পক্ষ থেকে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, আজকের এই রেড আবগারি দফতরের আধিকারিকরা শুধু মাত্র খবরের কাগজে নাম তোলার জন্য করেছেন। তাছাড়া তারা এই হানা দিয়ে বড্ড ভুল করেছেন। রাজ্যে তৃণমূল নেতা কর্মীরা বেআইনি কাজ করবে এটাই তো স্বাভাবিক।  এরাই তো বেআইনি ভাবে মদ তৈরী করবে এ আবার নতুন কি? সেই মদ খেয়ে মানুষ মারা যাবে তাদের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূলই আবার রাজনীতি করবে। মুখ্যমন্ত্রী মৃত্যুর দাম বেঁধে দেবেন এটাই এই রাজ্যের নিয়ম। আর আজকের এই হানায় লাভের লাভ কিচ্ছু হবে না।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles