Electricity Crisis: এপ্রিলেই ভাঙল গত বছরের জুনের রেকর্ড! রাজ্য কি বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে?

power disaster: কলকাতায় রেকর্ড বিদ্যুতের চাহিদা! পরিষেবা ব্যাহত…
Electricity_Crisis
Electricity_Crisis

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরুশহরকে টেক্কা দিয়ে রেকর্ড গড়ছে কলকাতার গরম। পাশাপাশি বিদ্যুতের (Electricity Crisis) চাহিদা ব্যাপক আকার নিয়েছে। সিইএসসি এবং বণ্টন সংস্থার সর্বকালীন চাহিদা এখন শীর্ষে। শহর কলকাতার নাগরিকদের একটা বড় অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ। চরম গরমে নাকাল মানুষের জীবন। অথচ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ জোগানের ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে। কিন্তু মানুষের জীবন নাজেহাল।

পথ অবরোধ বেলগাছিয়ায় (Electricity Crisis)

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল শনিবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বেলগাছিয়া লাল ময়দান এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করেছিলেন। সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ তাঁরা বেলগাছিয়া সেতুর কাছে মূল রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করেন। ফলে সাময়িক ভাবে রাস্তায় বেশ কিছু সময়ের জন্য যানজট হয়ে যায়। এমনকী আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে প্রবল সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় রোগীদের। অবশেষে সকাল ৯ টার সময় পুলিশ কোনও রকম বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ

এলাকার এক বাসিন্দা মহম্মদ এতেশাম নামে এক অবরোধকারী বলেন, “গত তিন দিন ধরে পরিস্থিতি একদম খারাপ। বিদ্যুৎ (Electricity Crisis) এই থাকে এই নেই। সিইএসসি-কে বার বার ফোন করেও লাভ হচ্ছে না। গত বছর এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার তাতে কিছুই যায় আসে না। এই বছর অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই মানষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন।” আবার বেলগাছিয়ার মিল্ক কলোনির এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, “আমার বয়স্ক মাকে দিনে চারবার নেবুলাইজার নিতে হয়। বেলা ১১ টায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। নেবুলাইজারে ওষুধ তখন অর্ধেক ব্যবহার করা গিয়েছিল। পরে যতক্ষণে বিদ্যুৎ এসেছিল ততক্ষণে সেই ওষুধ ব্যবহার করার সুযোগ হয়নি। তীব্র গরমে প্রশাসনের উচিত মানুষের অসুবিধাগুলিকে নজরে রাখা।”

রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির বক্তব্য

রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে ডব্লউবিএসইডিসিএল জানিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা পৌঁছেছিল ৯৯৩৫ মেগাওয়াট। যা ছিল সর্বকালীন রেকর্ড। আবার গত বছর সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছিল ৯২০০ মেগাওয়াট। গতবারের ১৮ জুনের চাহিদা এবারে এপ্রিল মাসেই ছাপিয়ে গিয়েছে। আবার শুক্রবার ৩ টে ১৫ মিনিটে সিইএসসি সবথেকে বেশি চাহিদা ছিল ২৭২৮ মেগাওয়াট। যা এই বছরের সবথেকে বেশি চাহিদা। একই ভাবে গত বছর ১৬ জুন এই চাহিদার পরিমাণ ছিল ২৬০৬ মেগাওয়াট। তবে চাহিদা ভালো ভাবেই মেটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তবে গরম বাড়লে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়বে এটাও স্বাভাবিক। ফলে গত বছরের চাহিদাকে মাথায় রেখে এই বছর কেন অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না তাই মানুষের মনে বড় প্রশ্ন।

আরও পড়ুন:চাঁদিফাটা রোদে হিট স্ট্রোক এড়াতে কী কী করবেন? দেখে নিন এক নজরে

বিদ্যুৎ মন্ত্রীর বক্তব্য

রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “জোগানে (Electricity Crisis) কোনও খামতি নেই। কয়েকমাস আগে থকেই সেই দিকে আমরা নজরে রেখেছি। সিইএসসি সংস্থার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান হয় সেই দিকে আমরা নজর দেওয়ার চেষ্টা করব।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles