মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় (Money Laundering Case) বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের পরিবহণমন্ত্রী অনিল পরবের বাড়িসহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।
জমি লেনদেনে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ রোধ আইনে (PMLA) মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সূত্রেই এদিন মুম্বই, পুণে, রত্নগিরিসহ মোট সাতটি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলাকালীন মুম্বইয়ের নরিমান পয়েন্টে নিজের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তিনবারের শিবসেনা বিধায়ক। গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে। আট ঘণ্টা ধরে মন্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন আধিকারিকরা। রাত আটটা নাগাদ তাঁর বাড়ি ছাড়ে ইডি। তারপরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান অনিল পরব।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার 'সুপ্রিম' নির্দেশ
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে রত্নগিরির দাপোলি জেলায় ১ কোটি টাকা দিয়ে একটি জমি কিনেছিলেন অনিল। ২০১৯ সালের সেই জমি নথিভুক্ত করান। ইডির অভিযোগ, এর পরের বছর সদানন্দ কদম নামে মুম্বইয়ের এক কেবল অপারেটরকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ওই জমিতে একটি রিসর্ট নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চে আয়কর বিভাগের একটি তদন্তে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ২০১৭ সালে ওই বেআইনি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। রিসর্টটি তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল
যদিও ইডির অভিযোগ স্বীকার করে নেননি মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন রিসর্টটি তাঁর নয়, সদানন্দ কদমের নামে নথিভুক্ত। এর সঙ্গে আর্থিক তছরুপের কোনও যোগ নেই। এক বছর আগেও পরবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইডিই ছিল সেই তদন্তের দায়িত্বে। অভিযোগ, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ অফিসার সচিন ভাজে তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন যে, পুলিশদের পছন্দের জায়গায় বদলি দেওয়ার পরিবর্তে পুলিশদের থেকে টাকা নিতেন অনিল পরব এবং এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
+ There are no comments
Add yours