মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির পুরোটাই দুর্নীতির টাকায় হয়েছে বলে দাবি ইডির। পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-রাজারহাট এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। একাধিক জায়গায় আরও ৮ থেকে ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে একাধিক হোটেল, পানশালা এবং চালকল। বেশ কিছু সংস্থায় তিনি শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা গেছে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এই বাকিবুর এক তৃণমূল মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গেছে। এখন প্রশ্ন হল, এতো অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন কীভাবে তিনি? সবটাই কি উপার্জিত আয়, নাকি রেশন দুর্নীতির (Ration Case) টাকায়? তদন্তে আরও স্পষ্ট হবে।
ইডির বক্তব্য (Ration Case)
ইডি সূত্রে জানা গেছে, বাকিবুরের ৯০ টির বেশি সম্পত্তি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে। মোট ছয়টি সংস্থায় তাঁর শেয়ারের পরিমাণ হল ৫০ কোটি টাকারও বেশি। মামলার তদন্তে নেমে ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি। তাঁর ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির সন্ধান মিলল, যার বেশিরভাগটাই উত্তর ২৪ পরগনা এবং বহরমপুরে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, পানশালা, হোটেল, চালকল। আরও জানা গেছে, নিজের শ্যালক, স্ত্রীর নামের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন (Ration Case) করেছেন বাকিবুর। অবশ্য শ্যালক এবং স্ত্রী এই কথা ইডির তদন্তের জেরায় জানিয়েছেন।
রেশনের সামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি করতেন
বাকিবুরের এই হঠাৎ সম্পত্তির উত্থানের কারণের পিছনে রেশন দুর্নীতির (Ration Case) কথা উঠে এসেছে। রেশনের খাদ্যসামগ্রীকে খোলা বাজারে বিক্রি করে, অবৈধ আয় করতেন তিনি। তাঁর কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে ১০০ টির বেশি সরকারি সিলমোহর দেওয়া নথি উদ্ধার হয়েছে তদন্তে। তাঁকে ৫৩ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসবাদ করে ইডির আধিকারিকরা এই তথ্য উদ্ধার করেন। এরপর তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আদালতে জানিয়েছে যে বাকিবুর মিল থেকে খাদ্যসামগ্রী অবৈধ ভাবে বিক্রি করতেন। আর তার সেই বিক্রির হিসাব লেখা রয়েছে খাতায়। কোথায় কত সামগ্রী যেত, কোন ডিসট্রিবিউটর বা ডিলারের কাছে মাল পাঠাতেন, তার হিসাবও আদলাতে জমা করেছে ইডি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours