Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

Trinamool Congress: সন্দেশখালির ছায়া দুর্গাপুরে, তৃণমূল নেতারা কি করেছে জানেন?
Durgapur_(1)
Durgapur_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া এবার দুর্গাপুরে (Durgapur)। স্বামীর কাজ ফিরে পেতে হলে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে স্ত্রীকে রাত্রিবাস করতে দিতে হবে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার নবীন পল্লি এলাকায়। তৃণমূল নেতাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহবধূ।

তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে বধূকে রাত কাটানোর প্রস্তাব (Durgapur)

তৃণমূল নেতাদের মদের দোকান বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ভোটের পরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের কাজে ফেরানোর দাবি জানিয়েছিলেন ওই যুবকের স্ত্রী। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাত্রিবাস করলেই স্বামীর কাজ ফিরবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই কুপ্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়াই লাগাতার হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। ভয়ে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই বধূ। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) ইন্দো-আমেরিকান মোড়ের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ঠিকাদার ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী নবীন পল্লি এলাকায় সুকুমার বাউরি, বিল্লি এবং বিশু নামে এলাকার তিন তৃণমূল নেতার অবৈধ মদের দোকান বন্ধ করার দাবি জানান। তারপরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেয় ২৩নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বামীর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁর স্ত্রী। তৃণমূলের তিন নেতা মিলে রিঙ্কুকে রাত্রিবাসের প্রস্তাব দেন। সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার হুমকি দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। হুমকির ভয়েই সুইসাইট নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবি

স্থানীয় বাসিন্দা অপর্ণা বাউরি বলেন,"গোটা এলাকায় মদ আর জুয়ার দোকান বাড়ছে। বিল্লি,সুকুমার,বদল এবং সুনীল নামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই মদের দোকান বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ওই বধূ। নির্বাচনে জিতে যেতেই এলাকায় মারধর এবং অত্যাচার শুরু করে ওরা। ওই গৃহবধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললে তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই বধূ।  দ্রুত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।"

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

দুর্গাপুরের ২৩নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই বলেন,"একটা ঝামেলা হয়েছিল শুনেছিলাম। দুই পাড়ার মধ্যে মদের দোকান নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়ে। আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও এক পক্ষ আসেননি। তারপর এতকিছু হয়েছে এই জানলাম। পুলিশ কড়া ব্যাবস্থা নেবে।"

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles