মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহাষষ্ঠী (maha Sasthi)। ষষ্ঠী হল চান্দ্র মাসের ষষ্ঠ দিন। সারা বছরই দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা করা যায়। তবে সন্তানের মঙ্গল কামনায় মায়েরা (Mothers) যে দুটি ষষ্ঠীর ব্রত মূলত করেন, তার একটি হল অশোক ষষ্ঠী, আর অন্যটি হল দুর্গা ষষ্ঠী। ষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা পূজিত হন কাত্যায়নী (Katyani) রূপে।
প্রশ্ন হল, কে এই কাত্যায়নী? দুর্গাপুজোর সময় ন দিন ধরে মহামায়ার নটি রূপের পুজো করা হয়। ষষ্ঠীর দিন পুজো হয় দেবী কাত্যায়নীর। তৈত্তিরীয় আরণ্যকে দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ভীষণা এই দেবীর গাত্র বর্ণ দেবী চণ্ডীর মতোই লাল। মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত দেবীমাহাত্ম্যে দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ রয়েছে। দেবী ভাগবত পুরাণেও মায়ের লীলা বর্ণিত হয়েছে। বৌদ্ধ, জৈন এবং তন্ত্রশাস্ত্রেও দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ রয়েছে। দেবীর কথা বলা হয়েছে কালিকা পুরাণেও। আর জি ভাণ্ডারকরের মতে, কাত্য জাতির দ্বারা দেবী পূজিতা হতেন বলে তাঁর নাম কাত্যায়নী। আবার একটি মতে, মহর্ষি কাত্যায়নের কন্যা তিনি। তাই তাঁর নাম কাত্যায়নী।
দেবী কাত্যায়নীর নানা রূপ। কোথাও তিনি দ্বিভুজা, কোথাও আবার চতুর্ভুজাও। আট, দশ কিংবা অষ্টাদশ ভুজা দেবমূর্তিরও পুজো হয় আমাদের দেশে। যেহেতু দেবী কাত্যায়নী মহামায়ারই এক রূপ, তাই তিনি বিশ্বমাতা। সেই কারণেই এদিন ষষ্ঠীর ব্রত করেন মহিলারা। লোকবিশ্বাস, দুর্গা ষষ্ঠীর ব্রত করলে বিপদ আপদ থেকে মনুষ্য সন্তানকে রক্ষা করেন স্বয়ং মহামায়া।
তবে ষষ্ঠীর দিন যে কাত্যায়নীর পুজো হয়, সেটা নবরাত্রি উৎসবের অঙ্গ বলেই বিবেচনা করেন কেউ কেউ। যাঁদের ষষ্ঠ্যাদিকল্পে দুর্গা পুজো হয়, তাঁরা এদিন দেবীকে দুর্গা রূপেই পুজো করেন। এদিন বিল্ববৃক্ষতলে হয় দেবী বরণের অনুষ্ঠান। বরণ করেন পুরোহিত স্বয়ং। কোথাও কোথাও এয়োস্ত্রীরাও বরণ করেন। তবে তা নিতান্তই লোকাচার, শাস্ত্রসম্মত কিছু নয়। আসলে পরের দিন সপ্তমীর দিন সকালে যে দেবীকে বরণ করে নেবেন গৃহস্থ, এদিন তারই প্রস্তুতি শুরু হয়। বিশ্বাস, এদিন দেবী এসে অপেক্ষা করেন গৃহপ্রবেশের।
+ There are no comments
Add yours